আলিগেটর আলকাট্রাজে বন্দীদের ভবিষ্যৎ কী? আইনজীবীদের সতর্কবার্তা!

যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিতর্কিত অভিবাসন কেন্দ্রে আটককৃতদের আইনি সহায়তা থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে। ‘অ্যালিগেটর আলকাট্রাজ’ নামে পরিচিত এই ডিটেনশন সেন্টারে বন্দীদের আইনজীবীদের সঙ্গে দেখা করতে না দেওয়া এবং তাদের মামলার বিষয়ে কোনো তথ্য জানতে না দেওয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, এটি মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন।

ফ্লোরিডার এভারগ্লেডসের দুর্গম অঞ্চলে অবস্থিত এই ডিটেনশন সেন্টারটি নিয়ে এরই মধ্যে অনেক সমালোচনা হয়েছে। এখানে অভিবাসন প্রত্যাশীদের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

তাদের আইনজীবী এবং আদালতের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। মানবাধিকার সংস্থা আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন (ACLU) সহ আরও কয়েকটি সংগঠন এর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছে।

মামলায় যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ, ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডিস্যান্টিস এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে।

তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আটককৃতদের আইনজীবীদের সঙ্গে দেখা করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে এবং তাদের আইনি লড়াই থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে, ACLU-এর একজন আইনজীবী জানান, সরকার কাউকে আইনজীবী বা আদালতের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না দিয়ে তাদের মৌলিক অধিকার খর্ব করছে।

ডিটেনশন সেন্টারের কর্মীরা নাকি বন্দীদেরকে কোনো আইনি পরামর্শ ছাড়াই স্বেচ্ছা-স্বীকৃতভাবে তাদের দেশ ত্যাগ করার জন্য চাপ দিচ্ছেন।

এমনকী, যাদের বন্ড শুনানি বাতিল করা হয়েছে, তাদেরও এই কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

অন্যদিকে, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

তারা জানিয়েছে, আইনজীবীদের সঙ্গে দেখা করার জন্য ডিটেনশন সেন্টারে একটি জায়গা রয়েছে।

এছাড়া, ইমেইলের মাধ্যমেও আইনজীবীরা তাদের মক্কেলের সঙ্গে কথা বলতে পারেন।

আদালতে শুনানিতে বিচারক এই মামলার বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন এবং ডিটেনশন সেন্টারটি কারা পরিচালনা করে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।

জানা গেছে, এই কেন্দ্রটি ফ্লোরিডা রাজ্যের তত্ত্বাবধানে স্থানীয় কিছু সংস্থার সঙ্গে মিলে পরিচালনা করা হচ্ছে।

এদিকে, ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে ‘ডিপোর্টেশন ডিপো’ নামে আরও একটি নতুন অভিবাসন কেন্দ্র তৈরির ঘোষণা করা হয়েছে।

ধারণা করা হচ্ছে, খুব শীঘ্রই এটি চালু হবে এবং এখানে প্রায় ১,৩০০ জনকে রাখা যাবে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *