শিরোনাম: আমান্ডা নক্স: মিথ্যা অভিযোগ থেকে মুক্তি, ভালোবাসা ও পরিচর্যার পথে
আমান্ডা নক্সের জীবন এক নাটকীয় আখ্যান। ২০০৭ সালে ইতালিতে পড়াশোনা করার সময় তার বিরুদ্ধে তার রুমমেট মেরেডিথ কারচারের হত্যার অভিযোগ আনা হয়, যা ছিল সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
এই ঘটনায় দীর্ঘ সময় জেলে কাটানোর পর ২০১৫ সালে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হন। সেই কঠিন সময়ে, তিনি মানসিক আঘাত কাটিয়ে উঠেছেন এবং খুঁজে পেয়েছেন নতুন ভালোবাসার আশ্রয়।
তার স্বামী ক্রিস্টোফার রবিনসন, যিনি সবসময় তার পাশে ছিলেন এবং তাকে এই কঠিন পরিস্থিতি থেকে বের হতে সাহায্য করেছেন।
ক্রিস্টোফার রবিনসন, যিনি পেশায় একজন লেখক, আমান্ডা নক্সের জীবনে এক গভীর প্রভাব ফেলেছেন। তারা প্রথম দেখা করেন ২০১৫ সালে, যখন আমান্ডা মুক্তি পান এবং ক্রিস্টোফারের একটি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তাদের সাক্ষাৎ হয়।
রবিনসন সবসময় আমান্ডার পাশে ছিলেন, তার প্রতি সহানুভূতি দেখিয়েছেন এবং তাকে নতুন করে জীবন শুরু করতে সাহায্য করেছেন। তাদের সম্পর্ক ধীরে ধীরে গভীর হয় এবং ২০১৮ সালে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
এই দম্পতির দুটি সন্তান রয়েছে: কন্যা ইউরেকা মিউস নক্স-রবিনসন এবং পুত্র ইকো নক্স-রবিনসন। তারা তাদের সন্তানদের মিডিয়া থেকে দূরে রেখেছেন, তবে আমান্ডা জানিয়েছেন যে তাদের মেয়ে ইতিমধ্যেই তার মায়ের ইতালির কারাবাসের গল্প জানতে চায়।
আমান্ডা তার মেয়ের কাছে সবসময় সত্য কথা বলেন এবং তার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেন।
আমান্ডা এবং ক্রিস্টোফার তাদের সম্পর্ক এবং জীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি পডকাস্ট শুরু করেছেন, যার নাম ‘ল্যাবিরিন্থস’। এই পডকাস্টে তারা জীবনের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন, যা তাদের শ্রোতাদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে।
২০১৪ সালে আমান্ডার বিরুদ্ধে আনা মানহানির অভিযোগের শুনানির রায় বহাল রাখা হয়। এই কঠিন সময়েও ক্রিস্টোফার সবসময় আমান্ডার পাশে ছিলেন এবং তাকে সাহস জুগিয়েছেন।
আমান্ডা নক্সের জীবন আমাদের দেখায় যে, মিথ্যা অভিযোগ এবং কঠিন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। ভালোবাসার শক্তি এবং একজন সঙ্গীর সমর্থন একজন মানুষকে কতটা পথ দেখাতে পারে, এটি তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
ক্রিস্টোফার রবিনসনের সঙ্গে তার সম্পর্ক, তাদের পরিবার এবং একসঙ্গে পথচলার গল্প, আমাদের সবার জন্য এক অনুপ্রেরণা।
তথ্যসূত্র: আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম।