বিমান ভ্রমণের সময় আরামদায়ক পোশাক পরাটা খুবই জরুরি, বিশেষ করে যখন লম্বা সময়ের জন্য ভ্রমণ করতে হয়। পোশাক যদি আরামদায়ক না হয়, তাহলে পুরো যাত্রাটাই কষ্টকর হয়ে উঠতে পারে।
একই সাথে, রুচিশীল এবং পরিপাটি থাকাটাও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ বিমানবন্দরে অনেক মানুষের সাথে দেখা হয়। এই চিন্তা থেকে, আসুন কিছু পোশাকের ধারণা নেই যা একই সাথে আরামদায়ক এবং স্টাইলিশ হবে, যা বাংলাদেশের ভ্রমণকারীদের জন্য উপযুক্ত।
ভ্রমণের পোশাক বাছাই করার সময় কিছু বিষয় মনে রাখতে হবে। পোশাক অবশ্যই আরামদায়ক হতে হবে, যা সহজে পরা ও খোলা যায়।
আবহাওয়ার পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নিতে স্তরযুক্ত পোশাক (layering) ভালো, যেমন একটি টি-শার্টের উপরে একটি জ্যাকেট বা কার্ডিগান।
কাপড়ের গুণমান গুরুত্বপূর্ণ, যা ত্বককে শ্বাসপ্রশ্বাস নেওয়ার সুযোগ দেয় এবং সহজে কুঁচকে যায় না।
পোশাকের রং এমন হওয়া উচিত যা সহজে ময়লা দেখা যায় না।
এবার কিছু পোশাকের ধারণা দেওয়া যাক:
১. **ঢিলেঢালা পোশাক:** লম্বা ভ্রমণের জন্য ঢিলেঢালা পোশাক খুবই আরামদায়ক।
যেমন, সুতির প্যান্টের সাথে একটি টি-শার্ট বা টপস পরা যেতে পারে। অথবা, আরামদায়ক একটি লং স্কার্ট এবং টপস বেছে নিতে পারেন।
২. **লounge set:** এখন বাজারে lounge set পাওয়া যায়, যা ভ্রমণকারীদের জন্য খুবই উপযোগী।
এই সেটে একটি টপস এবং প্যান্ট থাকে। যা একই সাথে আরামদায়ক ও স্টাইলিশ।
৩. **ওভারসাইজড হুডি:** প্লেনে ঠান্ডা লাগলে একটি ওভারসাইজড হুডি (hoodie) খুবই কাজে আসে।
এর সাথে একটি আরামদায়ক ট্রাউজার পরলে ভ্রমণ সহজ হয়।
৪. **লিলেন প্যান্ট:** গরম আবহাওয়ার জন্য লিলেন প্যান্ট (linen pants) খুবই আরামদায়ক।
এটি হালকা ও সহজে পরা যায়। এর সাথে একটি টি-শার্ট বা টপস পরা যেতে পারে।
এই ধরনের পোশাকগুলো সাধারণত বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যেমন Daraz, অথবা local shop-গুলোতে পাওয়া যায়।
এছাড়াও, বিভিন্ন ফ্যাশন ব্র্যান্ডের শোরুমেও আরামদায়ক ভ্রমণের পোশাক খুঁজে পাওয়া যেতে পারে।
ভ্রমণের পোশাক বাছাই করার সময় নিজের রুচি ও আরামের দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
পোশাকটি যেন আপনাকে আত্মবিশ্বাসী করে তোলে এবং ভ্রমণের সময় স্বাচ্ছন্দ্য দেয়, সেদিকে নজর রাখা উচিত।
তথ্য সূত্র: People