শিরোনাম: অ্যাম্বার হার্ডের প্রেম জীবন: জনি ডেপ থেকে মাতৃত্ব পর্যন্ত
অ্যাম্বার হার্ড, যিনি তাঁর অভিনয় এবং সৌন্দর্য দিয়ে বিশ্বজুড়ে পরিচিতি লাভ করেছেন, প্রায়ই সংবাদের শিরোনামে থাকেন। তাঁর পেশাগত জীবনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত সম্পর্কগুলোও সবসময় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। সম্প্রতি তিনি মা হয়েছেন এবং তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আবারও নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।
আসুন, এই অভিনেত্রীর প্রেম জীবন এবং সম্পর্কের নানা দিক সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাক।
অভিনেত্রী অ্যাম্বার হার্ডের ব্যক্তিগত জীবন সবসময়ই সংবাদের আলোয় থেকেছে। তাঁর সম্পর্কগুলো যেমন ছিল আলোচনা-সমালোচনার বিষয়, তেমনি তাঁর সাহসী সিদ্ধান্তগুলোও অনেককে আকৃষ্ট করেছে।
অ্যাম্বার হার্ডের সম্পর্কগুলোর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ছিল তাঁর প্রাক্তন স্বামী, অভিনেতা জনি ডেপের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক। তাঁদের পরিচয় হয় ২০০৯ সালে ‘দ্য রাম ডায়েরি’ ছবির সেটে। এরপর তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং ২০১৫ সালে তাঁরা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
কিন্তু তাঁদের এই সম্পর্ক বেশি দিন টেকেনি। বিয়ের ১৫ মাস পরেই ২০১৬ সালে তাঁরা বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আবেদন করেন। এরপরে তাঁদের মধ্যে শুরু হয় আইনি লড়াই, যা ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে।
বিবাহবিচ্ছেদের পর অ্যাম্বার হার্ড তাঁর প্রাক্তন স্বামীর বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য সহিংসতার অভিযোগ আনেন। এই নিয়ে আদালতে দীর্ঘ সময় ধরে চলা মামলায় দুজনেই তাঁদের বক্তব্য পেশ করেন। অবশেষে, ২০২২ সালে আদালত ডেপের পক্ষে রায় দেয়।
এই মামলার কারণে হার্ডের খ্যাতি কিছুটা হলেও কমে যায়, তবে তিনি তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সবসময়ই ছিলেন সোচ্চার।
জনি ডেপের সঙ্গে সম্পর্কের আগে অ্যাম্বার হার্ডের সম্পর্ক ছিল আলোকচিত্রী তাসিয়া ভ্যান রীর সঙ্গে। ২০০৮ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
২০১০ সালে তিনি প্রকাশ্যে নিজেকে উভকামী হিসেবে ঘোষণা করেন এবং তাসিয়ার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা জানান।
জনি ডেপের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরে, হার্ডের সম্পর্ক হয় ইলেক্ট্রিক কার প্রস্তুতকারক কোম্পানি টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এলন মাস্কের সঙ্গে। ২০১৬ সালে তাঁদের মধ্যে সম্পর্কের গুঞ্জন শোনা যায় এবং ২০১৭ সালে তাঁরা তাঁদের সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে আনেন।
তবে তাঁদের সম্পর্ক বেশি দিন স্থায়ী হয়নি এবং ২০১৮ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়।
অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার পাশাপাশি, হার্ডের ব্যক্তিগত জীবনও সবসময় সংবাদের শিরোনামে থেকেছে। তাঁর সম্পর্কের উত্থান-পতন, আইনি লড়াই এবং মাতৃত্ব—সবকিছুই তাঁর জীবনকে একটি আলোচনার বিষয় করে তুলেছে।
এলন মাস্কের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর হার্ডের নাম জড়ায় শিল্পী ভিটো শ্নাবেলের সঙ্গে। ২০১৮ সালে তাঁদের একসঙ্গে দেখা যায় এবং বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে তাঁরা একসঙ্গে যোগ দেন। যদিও তাঁদের সম্পর্ক বেশি দিন টেকেনি।
এরপর তিনি পরিচালক আন্দ্রিস মুসচিটির সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান, তবে সেই সম্পর্কও বেশি দিন স্থায়ী হয়নি।
সবশেষে, ২০২০ সালে হার্ডের সম্পর্ক হয় চিত্রনির্মাতা বিয়াঙ্কা বুত্তির সঙ্গে। তাঁদের সম্পর্কের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে এবং তাঁদের একসঙ্গে বিভিন্ন স্থানে দেখা যায়।
তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন শোনা গেলেও, এই বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
বর্তমানে অ্যাম্বার হার্ড তাঁর তিন সন্তানের মা। তাঁর প্রথম সন্তান, কন্যা ওনাগ পেইজ, জন্ম নেয় ২০২১ সালে। এছাড়া, তিনি যমজ সন্তানের মা হয়েছেন, যাদের নাম অ্যাগনেস ও ওশেন।
মা হিসেবে তিনি তাঁর জীবন নতুন করে সাজিয়েছেন এবং বর্তমানে তিনি তাঁর সন্তানদের নিয়ে সুখী জীবন যাপন করছেন।
তথ্য সূত্র: পিপল