অ্যাম্বার হার্ড এখন কোথায়? স্পেনে নতুন জীবন!

আর্টিকেল লেখার নির্দেশিকা অনুসরণ করে নিচে একটি নতুন বাংলা সংবাদ নিবন্ধ দেওয়া হলো:

**অ্যাম্বার হার্ড: বিচার-প্রক্রিয়ার পর নতুন জীবনে, স্পেনে ঘর বাঁধা ও সন্তানের আগমন**

যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী অ্যাম্বার হার্ড বর্তমানে স্পেনে নতুন জীবন শুরু করেছেন। বিতর্কিত বিচার প্রক্রিয়া এবং প্রাক্তন স্বামী জনি ডেপের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তিনি যেন নতুন করে বাঁচার পথ খুঁজে পেয়েছেন। মা হওয়ার পর তিনি জীবনের নতুন সংজ্ঞা খুঁজে পেয়েছেন, যা অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা।

২০২২ সালের বহুল আলোচিত মানহানির মামলার পর অ্যাম্বার হার্ড যেন লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে গিয়েছিলেন। ক্যালিফোর্নিয়ার বাড়ি ছেড়ে তিনি প্রথমে স্পেনের মায়োর্কাতে বসবাস করতে শুরু করেন। পরে মাদ্রিদে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন তিনি। সেখানকার জীবন নিয়ে তিনি বলেন, “আমি এখানে একজন মা হিসেবে থাকতে পারি। আমার মেয়ের দেখাশোনা করাই এখন আমার প্রধান কাজ।”

২০২১ সালের এপ্রিলে অ্যাম্বার হার্ডের কোল আলো করে আসে তার প্রথম সন্তান, কন্যা ওনাগ। সম্প্রতি, তিনি যমজ সন্তানের মা হয়েছেন। এই খবরটি তিনি নিজেই নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, তার পরিবার এখন সম্পূর্ণ। মা দিবসে তিনি তার মেয়ে অ্যাগনেস এবং ছেলে ওশেন-এর ছবি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেন।

বিচার প্রক্রিয়া অ্যাম্বারের জীবনে অনেক চাপ সৃষ্টি করেছিল। তবে, এখন তিনি ধীরে ধীরে সেই ট্রমা কাটিয়ে উঠছেন। তিনি জানান, ভবিষ্যতে অভিনয়ে ফিরে আসার জন্য মুখিয়ে আছেন।

মানহানির মামলার সময় আদালত জনি ডেপকে ১৫ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে বলেছিলেন। বিচারক এই অঙ্ক কমিয়ে ১০.৩৫ মিলিয়ন ডলারে নির্ধারণ করেন। অ্যাম্বার হার্ডও তার বিরুদ্ধে আনা একটি অভিযোগের জন্য ২ মিলিয়ন ডলার পেয়েছিলেন। পরে অবশ্য তিনি আপিল প্রত্যাহার করে নেন এবং ১ মিলিয়ন ডলারে বিষয়টির নিষ্পত্তি করেন।

অ্যাম্বার হার্ড জানিয়েছেন, তিনি তার অভিনয় জীবনকে আবারও নতুন করে সাজাতে চান। তিনি বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে কাজ করতে আগ্রহী। সম্প্রতি, তিনি “ইন দ্য ফায়ার” (In the Fire) নামে একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এই ছবিতে তিনি একজন আমেরিকান মনোবিদের চরিত্রে অভিনয় করেছেন যিনি কলম্বিয়ায় যান।

অ্যাম্বার হার্ডের এই নতুন জীবনযাত্রা অনেকের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে। কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করে কিভাবে নতুন করে জীবন শুরু করা যায়, তা তিনি প্রমাণ করেছেন।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *