আমেরিকার অর্থনীতি: ঘুরে দাঁড়াল, স্বস্তি?

ফেব্রুয়ারি মাসে আমেরিকার অর্থনীতিতে কিছুটা গতি ফিরে এসেছে, যেখানে ভোক্তাদের ব্যয়ের পরিমাণ বেড়েছে। একইসাথে, মূল্যস্ফীতিও স্থিতিশীল রয়েছে।

তবে, সম্প্রতি আমদানি শুল্ক বৃদ্ধির কারণে দেশটির অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে কিছুটা বাধা আসতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা।

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগের নতুন তথ্য অনুযায়ী, গত মাসে আমেরিকানরা তাদের খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়েছে। জানুয়ারিতে যেখানে ব্যয়ের পরিমাণ কমে গিয়েছিল, সেখানে ফেব্রুয়ারি মাসে তা ০.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

অন্যদিকে, জানুয়ারিতে ব্যয়ের যে হিসাব দেওয়া হয়েছিল, তা সংশোধন করে ০.৩ শতাংশ কমানো হয়েছে।

ব্যক্তিগত ভোগ ব্যয় সূচক (Personal Consumption Expenditures বা PCE) অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে ২.৫ শতাংশ, যা জানুয়ারির একই ছিল।

মাসিক হিসাবেও, মূল্যবৃদ্ধি ছিল ০.৩ শতাংশ, যা জানুয়ারির মতোই।

অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, জ্বালানি তেলের দাম কমে আসা এবং খাদ্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল থাকার কারণে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তাদের পূর্বাভাস ছিল, PCE সূচক জানুয়ারির ২.৫ শতাংশের হারেই থাকবে।

তবে, গাড়ির আমদানি শুল্ক বৃদ্ধি এবং অন্যান্য শুল্ক আরোপের কারণে আমেরিকার অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন।

এর ফলে জিনিসপত্রের দাম আরও বাড়তে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমেরিকার অর্থনীতির এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির ভালো-মন্দ প্রভাব বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে উভয় দেশের সম্পর্ককে প্রভাবিত করে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও এর কিছু প্রভাব পড়তে পারে, বিশেষ করে রপ্তানি এবং প্রবাসী আয় এর ক্ষেত্রে।

তথ্য সূত্র: CNN

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *