আতঙ্কের সৃষ্টি: বিমানবন্দরে দুটি বিমানের সংঘর্ষ!

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি’র একটি বিমানবন্দরে দুটি আমেরিকান এয়ারলাইন্সের বিমানের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় দুপুরে রোনাল্ড রেগান ওয়াশিংটন ন্যাশনাল বিমানবন্দরে ট্যাক্সিওয়েতে থাকাকালীন এই দুর্ঘটনা ঘটে।

ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) জানিয়েছে, সৌভাগ্যবশত এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

জানা গেছে, আমেরিকান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান, ফ্লাইট নম্বর ৫৪৯০, যা সাউথ ক্যারোলাইনার চার্লস্টনের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল, অপর একটি বিমান, ফ্লাইট নম্বর ৪৫২২ এর সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এই বিমানটি নিউ ইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দিকে যাচ্ছিল।

ধাক্কা লাগার সময় উভয় বিমানই ট্যাক্সিওয়েতে ছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতা জশ গটহাইমার, যিনি নিউ ইয়র্কের উদ্দেশ্যে যাত্রা করছিলেন, তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছেন, ঘটনার সময় তিনি বিমানেই ছিলেন।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, বিমানটি রানওয়েতে উড্ডয়নের জন্য অপেক্ষা করছিল।

এই ঘটনার পর বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। উল্লেখ্য, ওয়াশিংটন ডিসির এই বিমানবন্দরটিতে প্রায়ই উড়োজাহাজ চলাচল করে।

এফএএ জানিয়েছে, তারা এই ঘটনার তদন্ত করবে। আমেরিকান এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উভয় বিমানকে টার্মিনালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং মেরামতের জন্য সেগুলোকে উড্ডয়ন কার্যক্রম থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

দুর্ঘটনার ফলে উভয় বিমানের উইংলেটে সামান্য ক্ষতি হয়েছে। তবে, যাত্রীদের অন্য বিমানে করে গন্তব্যে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

বিমানবন্দরে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে, কারণ এর আগে, চলতি বছরের ২৯শে জানুয়ারী, এখানে একটি আমেরিকান এয়ারলাইন্সের আঞ্চলিক জেট ও মার্কিন সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারের মধ্যে সংঘর্ষে ৬৭ জন নিহত হয়েছিলেন।

এই ঘটনার পর বিমানবন্দরের কাছাকাছি হেলিকপ্টার চলাচলের ওপর বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

এফএএ জানিয়েছে, তারা বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের একটি নতুন দল নিয়োগ করেছে। এছাড়া, কর্মীদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

গত মাসে, বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ারে কর্মীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছিল এবং এর জেরে একজনকে বরখাস্ত করা হয়।

বিমান চলাচলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের আরো সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।

তথ্য সূত্র: আল জাজিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *