যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস উড়িয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ইসরায়েলে গ্রেপ্তার হওয়া এক মার্কিন নাগরিককে নিউইয়র্কে আটকের পর বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে।
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম জোসেফ নিউমায়ার, যিনি একইসঙ্গে জার্মানিরও নাগরিক। মার্কিন বিচার বিভাগের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নিউমায়ার গত ১৯শে মে তেল আবিবে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের একটি শাখায় হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিলেন।
অভিযোগ উঠেছে, নিউমায়ার দূতাবাসের এক নিরাপত্তা কর্মীর ওপর থুতু ছিটিয়েছিলেন এবং এরপর পালিয়ে যাওয়ার সময় তার একটি ব্যাকপ্যাক ফেলে যান।
পরে ওই ব্যাকপ্যাক থেকে তিনটি পেট্রোল বোমা (মলোটভ ককটেল) উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও, তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাওয়া কিছু পোস্টে যুক্তরাষ্ট্র এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
মার্কিন বিচার বিভাগ জানিয়েছে, নিউমায়ারকে ইসরায়েল থেকে যুক্তরাষ্ট্র ফেরত পাঠানোর পর নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (জেএফকে) গ্রেপ্তার করা হয়।
তাঁর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনা হয়েছে। দোষী সাব্যস্ত হলে নিউমায়ারের সর্বোচ্চ ২০ বছরের কারাদণ্ড এবং ২ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা হতে পারে।
বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২ কোটি ৭৫ লাখ টাকার সমান।
এই অভিযুক্ত ব্যক্তি ইসরায়েলে আমাদের দূতাবাসকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা করেছিলেন, যা আমেরিকানদের জীবনকে হুমকির মুখে ফেলেছিল।
এফবিআই পরিচালক কাশ্যপ প্যাটেল বলেছেন, “এই ঘৃণ্য এবং সহিংস আচরণ দেশে বা বিদেশে কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। এফবিআই আমাদের অংশীদারদের সাথে কাজ করে তার এই বিপজ্জনক কাজের জন্য তাকে বিচারের আওতায় আনবে।
এই ঘটনার কয়েক দিন আগে, ওয়াশিংটন ডিসিতে ইসরায়েলি দূতাবাসের দুই কর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তি “ফিলিস্তিন মুক্ত কর” বলে চিৎকার করে এবং “গাজার জন্য এটা করেছি” বলে স্বীকার করেছে।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, মার্কিন স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা সচিব ক্রিস্টি নোয়েম বর্তমানে ইসরায়েলে অবস্থান করছেন এবং দেশটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন।
তথ্য সূত্র: সিএনএন