মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভোক্তারা এখন আর্থিক দিক থেকে বেশ চাপে আছেন। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় তাদের জীবনযাত্রায় চরম দুর্ভোগ নেমে এসেছে।
একদিকে যেমন মূল্যস্ফীতি বাড়ছে, তেমনই আবার আমদানি শুল্কের (ট্যারিফ) কারণেও জিনিসপত্রের দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি বিভিন্ন প্রতিবেদনে এই উদ্বেগের চিত্র উঠে এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রভাবশালী গবেষণা সংস্থা, ট্যাক্স ফাউন্ডেশনের হিসাব অনুযায়ী, যদি সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত শুল্ক হার কার্যকর হয়, তাহলে ২০২৫ সাল নাগাদ এই হার গিয়ে দাঁড়াতে পারে ৮ শতাংশে।
যা গত প্রায় ৬০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর ফলে সাধারণ মানুষের ওপর কেমন প্রভাব পড়বে, তা সহজেই অনুমেয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই শুল্কের কারণে সাধারণ আমেরিকানদের সংসার খরচ আরও বাড়বে। ইয়েল বাজেট ল্যাব-এর হিসাব অনুযায়ী, ট্রাম্পের শুল্ক নীতি কার্যকর হলে, একটি পরিবারের বছরে প্রায় ২,০০০ মার্কিন ডলার অতিরিক্ত খরচ হতে পারে।
মূল্যস্ফীতি হিসাব করলে এই অঙ্ক আরও বড় হবে।
গত পাঁচ বছরে জিনিসপত্রের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ভোক্তা মূল্য সূচক (কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স) অনুযায়ী, এই সময়ে মূল্যস্ফীতি ২৩ শতাংশের বেশি হয়েছে।
খাদ্যপণ্যের দামও বেড়েছে ব্যাপক হারে। যেমন, একটি মুরগির দাম বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে।
এছাড়া, সাদা পাউরুটি, গরুর মাংসের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামও বেড়েছে।
অন্যদিকে, অনেক আমেরিকানের আয় সেভাবে বাড়েনি। বরং, অনেক ক্ষেত্রে কমেছে।
গত চার বছরে প্রকৃত মজুরি কমেছে প্রায় ৫ শতাংশ। এমন পরিস্থিতিতে, একদিকে মূল্যস্ফীতি, অন্যদিকে শুল্কের বোঝা— সব মিলিয়ে মার্কিন অর্থনীতি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরনের হতাশা তৈরি হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন পরিস্থিতিতে ভোক্তাদের মধ্যে অর্থনৈতিক দুশ্চিন্তা বাড়াটা স্বাভাবিক। কারণ, একদিকে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, অন্যদিকে আয়ের তেমন কোনও উন্নতি হচ্ছে না।
এই অবস্থায়, অনেক আমেরিকান হয়তো তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত।
যদিও এই পরিস্থিতি আমেরিকার, তবে বিশ্বের অনেক দেশের মানুষের জীবনেই এখন অর্থনৈতিক চাপ বাড়ছে।
আমাদের দেশেও জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, যা সীমিত আয়ের মানুষের জন্য উদ্বেগের কারণ।
তথ্য সূত্র: সিএনএন