যুক্তরাষ্ট্রে গত মে মাসে খুচরা বিক্রি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে, যা দেশটির অর্থনীতিতে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। বাণিজ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এই মাসে বিক্রি ০.৯ শতাংশ কমেছে, যা জানুয়ারির পর থেকে সবচেয়ে বড় পতন।
মূলত গাড়ির বিক্রি কমে যাওয়ায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। খবরটি এমন সময়ে এসেছে যখন বিশ্ব বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা চলছে, এবং এর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে অনেকেই উদ্বিগ্ন।
বিশ্লেষকদের মতে, মার্চ মাসে ভোক্তারা কিছু পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির আশঙ্কায় তাড়াহুড়ো করে জিনিসপত্র কিনেছিল। এর ফলস্বরূপ, মে মাসে বিক্রি কমে গেছে।
এই পরিস্থিতিতে, শুধু গাড়ির বিক্রি বাদ দিলে, খুচরা বিক্রয়ের পতন ০.৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির এই পরিবর্তনের কারণগুলো গভীরভাবে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তাই, যুক্তরাষ্ট্রের এই অর্থনৈতিক মন্দা বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও কিছু প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে, বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য এবং রেমিটেন্সের ওপর এর কিছু প্রভাব পড়তে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চাহিদা কমলে, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। এছাড়া, বিশ্ব অর্থনীতির এই অস্থিরতা বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপরও চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
তবে, এই মুহূর্তে এর সরাসরি প্রভাব সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন এবং খুব শীঘ্রই এর বিস্তারিত বিশ্লেষণ পাওয়া যাবে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন