ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতের জেরে ইসরায়েলে আটকে পড়া বহু মার্কিন নাগরিককে দ্রুত দেশে ফেরাতে চেষ্টা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় সেখানকার পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে পড়েছে।
বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকেই আটকা পড়েছেন এবং চরম উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
জানা গেছে, ইসরায়েলে বসবাস করা প্রায় সাত লাখ মার্কিন নাগরিকের মধ্যে অনেকেই এখন দ্রুত দেশ ছাড়তে চাইছেন। তাদের মধ্যে অনেকে আত্মীয়-স্বজনের বিয়ে অথবা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে সেখানে গিয়েছিলেন।
কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তারা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
তেল আবিবের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় অনেকে বাড়ি ফিরতে পারছেন না। সেখানকার পরিস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে অনেকে ভয়ের কথা জানিয়েছেন।
সেখানকার বাসিন্দারা আশ্রয়কেন্দ্রে যেতেও সমস্যা সম্মুখীন হচ্ছেন।
মার্কিন দূতাবাস আটকে পড়া নাগরিকদের জন্য এথেন্সের ফ্লাইটের ব্যবস্থা করছে। সেখান থেকে তারা যুক্তরাষ্ট্রে ফিরতে পারবেন।
তবে কবে নাগাদ এই ফ্লাইটগুলো শুরু হবে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তামি ব্রুস জানিয়েছেন, প্রায় ২৫,০০০ জনের বেশি মানুষ ইসরায়েল, পশ্চিম তীর এবং ইরানের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন।
আটকে পড়া আমেরিকানদের অনেকেই জর্ডান ও মিশরের স্থল সীমান্ত দিয়ে অন্য দেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে সেখানেও রয়েছে ঝুঁকি।
কারণ হিসেবে জানা গেছে, সংঘাতের কারণে জর্ডানের আকাশপথ মাঝে মাঝেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
আটকে পড়া আমেরিকানদের মধ্যে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দূতাবাস দ্রুততার সঙ্গে কাজ করছে না। বয়স্ক, অসুস্থ এবং শিশুদের পরিবারের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
তবে সবাই দ্রুততম সময়ে নিজেদের দেশে ফিরতে চাইছেন।
তথ্য সূত্র: সিএনএন