২০২৬: আমেরিকার জন্মদিনে উৎসবে মাতবে বিশ্ব!

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা ঘোষণার আড়াইশো বছর পূর্তি উপলক্ষে ব্যাপক উৎসবের প্রস্তুতি চলছে। ২০২৬ সালে এই বিশেষ দিনটি উদযাপন করতে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য ও শহরে নানা ধরনের আয়োজন করা হচ্ছে।

খবর অনুযায়ী, স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলোতে থাকবে বিশেষ আকর্ষণ।

ইতিহাস প্রেমীদের জন্য ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যে উৎসব শুরু হয়ে গেছে। ১৭৭৫ সালে প্যাট্রিক হেনরির বিখ্যাত ‘আমাকে স্বাধীনতা দাও, না হয় মৃত্যু দাও’ ভাষণটির আড়াইশো বছর পূর্তি উপলক্ষে চলচ্চিত্র নির্মাতা কেন বার্নসের নেতৃত্বে একটি পুনর্অভিনয় অনুষ্ঠান হবে।

ভার্জিনিয়ার VA250 কমিশনের প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা মাইক ফ্রন্টিয়ারো বলেন, “এই ভাষণটি ছিল একটি অসাধারণ মুহূর্ত। এটি একই স্থানে, একই দিনে এবং একই সময়ে পুনরায় উপভোগ করার সুযোগ তৈরি হয়েছে।”

ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে পরিচিত উইলিয়ামসবার্গ, জেমসটাউন এবং ইয়র্কটাউনেও নানা আয়োজন করা হচ্ছে। গ্রীষ্মকালে এখানে লাইভ পুনর্অভিনয় এবং ফায়ারওয়ার্কসের সাথে ‘লাইটস অফ ফ্রিডম’ কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে।

অন্যদিকে, ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের কনকর্ড ও লেক্সিংটনেও উৎসবের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। কারণ, এই দুটি স্থানেই ১৭৭৫ সালে মার্কিন স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা হয়েছিল।

আগামী বছর ১৯ এপ্রিল, ‘পেট্রিয়টস ডে’ উপলক্ষে এখানে বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও পুনর্অভিনয়ের আয়োজন করা হবে। বোস্টনেও স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত স্থানগুলোতে বিশেষ উদযাপন হবে।

ফিলাডেলফিয়া শহরটি এই উদযাপনে একটি বিশেষ স্থান হতে চলেছে। এখানে ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল ম্যাচ এবং এমএলবি অল-স্টার গেম অনুষ্ঠিত হবে।

গেটিসবার্গেও যুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলো স্মরণ করে বছরব্যাপী উৎসবের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এখানে ১৮৬৩ সালের গেটিসবার্গ যুদ্ধ এবং আব্রাহাম লিংকনের গেটিসবার্গ বক্তৃতা বিশেষভাবে স্মরণ করা হবে।

নিউইয়র্ক শহরও এই উদযাপনে পিছিয়ে নেই। এখানে ব্রডওয়েতে ‘হ্যামিল্টন’ নামক একটি বিশেষ পরিবেশনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এছাড়াও, নিউইয়র্ক পাবলিক লাইব্রেরিতে গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক দলিলের প্রদর্শনী এবং সারা শহরে নানা ধরনের কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে।

মিসৌরির ব্রানসন শহরে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক আমেরিকান পতাকা প্রদর্শনের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

ওয়াশিংটন ডিসি-তে ন্যাশনাল মলে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে, যেখানে স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজ, আতশবাজি এবং মাসব্যাপী উৎসব অনুষ্ঠিত হবে।

এখানে ন্যাশনাল আর্কাইভসে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র দেখার সুযোগ থাকবে।

ঐতিহাসিক রুট ৬৬-এর একশ বছর পূর্তি উপলক্ষে নিউ মেক্সিকোতে বিশেষ আয়োজন করা হবে।

ঐতিহাসিক হোটেলগুলোও এই উদযাপনের অংশ হবে। পর্যটকদের জন্য পুরনো দিনের ঐতিহ্যের স্বাদ দিতে প্রস্তুত রয়েছে এই হোটেলগুলো।

এছাড়াও, নৌবহরের অংশগ্রহণে ‘সেইল২৫০’ উদযাপন করা হবে, যেখানে বিভিন্ন দেশের নৌজাহাজগুলো অংশ নেবে।

তথ্যসূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *