আমেরিকার জনপ্রিয় কমেডি সিরিজ ‘পার্কস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন’-এর অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মধ্যেকার সম্পর্ক আজও অটুট। বিশেষ করে, এই ধারাবাহিকের দুই প্রধান চরিত্র, অ্যামি পোহলার এবং অ্যাডাম স্কটের মধ্যেকার সম্পর্ক শুধু পর্দাতেই সীমাবদ্ধ ছিল না, বাস্তবেও ছিল গভীর।
সম্প্রতি অ্যামি পোহলারের একটি পডকাস্টে অতিথি হিসেবে এসেছিলেন পল রুড। সেখানেই উঠে আসে অ্যাডাম স্কটের অভিনয়ের কথা।
পল রুড, যিনি এই কমেডি সিরিজে তিন সিজনের জন্য অতিথি শিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন, অ্যামি পোহলারকে বলেন, “আমি বিশ্বাস করতে পারি না যে আমি আমার প্রিয় কিছু মানুষের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি – তুমি, অ্যাডাম এবং ক্যাথরিন হান ও র্যাশিদা জোন্স।”
পোহলারের সাথে কথোপকথনে রুড আরও যোগ করেন, “অ্যাডাম একজন অসাধারণ অভিনেতা। সবাই এখন সেটা বুঝতে পারছে।” ‘পার্কস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন’-এর অভিনেতা অ্যাডাম স্কট বর্তমানে ‘সেভারেন্স’ নামের একটি টিভি সিরিজে অভিনয় করছেন।
এই সিরিজে অভিনয়ের জন্য তিনি এমি, গোল্ডেন গ্লোব এবং স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড অ্যাওয়ার্ডের মতো সম্মানজনক পুরস্কারের জন্য মনোনয়নও পেয়েছেন।
পডকাস্টে পোহলার জানান, ‘পার্কস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন’-এর শুটিংয়ের সময়ও তিনি অ্যাডামের অভিনয় দেখে মুগ্ধ হতেন। তিনি মজা করে বলেন, “শুটিংয়ের সময় আমি প্রায়ই তাকে বলতাম, ‘তুমি কী দারুণ অভিনয় করছ!’ তখন সে বলত, ‘আহ, চুপ করো।’
আমরা হয়তো একটা দৃশ্যের মাঝখানে থাকতাম, কিন্তু আমি বলতাম, ‘তুমি সত্যিই খুব ভালো অভিনয় করছ!’”
২০১৫ সালে জনপ্রিয় এই ধারাবাহিকটির সম্প্রচার শেষ হওয়ার পর, ফেব্রুয়ারিতে এর ফাইনালের ১০ বছর পূর্তি হয়। ‘পার্কস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন’ ২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সাতটি সিজন ধরে চলেছিল।
অন্যদিকে, ‘পার্কস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন’-এ বেন ওয়ায়েটের চরিত্রে অভিনয় করা অ্যাডাম স্কট সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে এই সিরিজের স্মৃতিচারণ করেন।
তিনি বিশেষ করে চতুর্থ সিজনের ‘দ্য কামব্যাক কিড’ পর্বের একটি দৃশ্যের কথা উল্লেখ করেন, যা নিয়ে সেটে হাসির রোল উঠেছিল।
ঐ দৃশ্যে দেখা যায়, পোহলারের চরিত্র লেসলি নোপ তার সহকর্মীদের নিয়ে একটি আইস স্কেটিং ইভেন্টের আয়োজন করেন। কিন্তু সেখানে তাদের প্রবেশ করার সময় চরম বিশৃঙ্খলা দেখা যায়। সবাই হোঁচট খেয়ে পড়ছিল এবং একে অপরের ওপর আছড়ে পড়ছিল।
অ্যাডাম স্কট স্মৃতিচারণ করে বলেন, “আমরা যখন দৃশ্যটির টেবল রিডিং করছিলাম, সবাই হেসে অস্থির হয়ে গিয়েছিলাম।
দৃশ্যটি কেমন হবে, সেটা ভেবেই আমরা হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে গিয়েছিল। আর শুটিংয়ের পর তো দৃশ্যটি আরও মজার হয়ে উঠেছিল। আমার মনে হয়, এটি অন্যতম সেরা দৃশ্য ছিল।”
তথ্য সূত্র: পিপল