ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার পর ফ্লিনটফের মানসিক অবস্থা! মুখ খুললেন!

ফর্মুলা ওয়ান-এর গতি আর ক্রিকেটের মাঠ, দুই ভিন্ন জগৎ। কিন্তু খেলাধুলার জগৎ সবসময় অনিশ্চয়তায় ভরা।

ইংলিশ ক্রিকেট দলের প্রাক্তন তারকা অলরাউন্ডার অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ, যিনি ‘ফ্রেডি ফ্লিনটফ’ নামেই বেশি পরিচিত, তাঁর জীবনের মোড় ঘুরে গিয়েছিল ২০২২ সালে, যখন তিনি বিবিসির জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘টপ গিয়ার’-এর শুটিংয়ের সময় এক মারাত্মক দুর্ঘটনায় আহত হন।

এই দুর্ঘটনার পর মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে লড়াই করাটা তাঁর জন্য সহজ ছিল না। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের সেই কঠিন দিনগুলোর কথা জানিয়েছেন তিনি।

দুর্ঘটনার পর দীর্ঘদিন জনসমক্ষে আসা থেকে দূরে ছিলেন ফ্লিনটফ। ধীরে ধীরে যখন স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করছিলেন, তখন তাঁর মনে বাসা বাঁধে গভীর উদ্বেগ।

ইংল্যান্ড দলের কোচিং স্টাফে যোগ দেওয়ার প্রথম সকালে হোটেলের ঘর থেকে বের হতে দশবার চেষ্টা করতে হয়েছিল তাঁকে। বিষয়টি বুঝিয়ে দেয়, দুর্ঘটনার অভিঘাত কতটা গভীর ছিল।

ফ্লিনটফ জানান, যখন তিনি ওয়েলসে একটি হোটেলে দলের সঙ্গে ছিলেন, তখন বেন স্টোকসের মতো পরিচিত খেলোয়াড়দের সঙ্গে দেখা হওয়াটাও তাঁর কাছে উদ্বেগের কারণ ছিল।

তিনি বলেন, “আমি তখন স্টোকসিকে তেমনভাবে চিনতাম না। তবে এখন তাঁর সঙ্গে আমার দারুণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।

ড্রেসিংরুমে সতীর্থদের আন্তরিক ব্যবহার ফ্লিনটফের মানসিক স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করেছে।

২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর ফ্লিনটফ টেলিভিশন জগতে মনোনিবেশ করেন।

তবে তাঁর বন্ধু এবং ইংল্যান্ডের ক্রিকেট পরিচালক রব কী-এর উৎসাহে ২০২৩ সালে তিনি আবার ক্রিকেটে ফিরে আসেন।

প্রথমে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে কাজ করলেও, বর্তমানে তিনি ইংল্যান্ড লায়ন্স দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করছেন।

তাঁর এই প্রত্যাবর্তন বুঝিয়ে দেয়, কঠিন পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষমতা মানুষের থাকে।

মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিয়ে, সঠিক পরিচর্যা ও বন্ধুত্বের মাধ্যমে যেকোনো সংকট মোকাবেলা করা সম্ভব।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *