ধর্ষণের হুমকি! এক নারীর প্রতি ‘ধর্ষণ করবো কিনা ভাবছি’ বললেন অ্যান্ড্রু টেট

শীর্ষ বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব অ্যান্ড্রু টেটের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, আইনি লড়াই চলছে

বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব অ্যান্ড্রু টেটের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে, এমনটাই জানা যাচ্ছে। যুক্তরাজ্যের আদালতে চারজন নারী তার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এবং তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি শুনানি ১৫ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

এই মামলাগুলোতে যৌন নির্যাতন, মানসিক নিপীড়ন এবং মারধরের অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে, টেট নারীদেরকে “আমি তোমাকে ধর্ষণ করব কিনা, সেই বিষয়ে ভাবছি” এমন কথা বলেছিলেন।

মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, এই নারীদের মধ্যে একজন অভিযোগ করেছেন যে, টেট তাকে শ্বাসরোধ করে এবং তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। অপর এক নারীর অভিযোগ, টেট তার ওয়েবক্যাম ব্যবসার জন্য তাকে কাজে লাগিয়েছিলেন এবং তাকে বন্দুক দেখিয়ে ভয় দেখিয়েছিলেন।

আরও জানা যায়, টেট প্রায়ই অপর এক নারীকে শ্বাসরোধ করতেন, যার ফলে তার চোখের চারপাশে রক্তের জমাট দেখা দিত। চতুর্থ এক নারীর অভিযোগ, লু‌টনের একটি নাইটক্লাবে তাদের প্রথম সাক্ষাতের পর টেট তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক চালিয়ে যান, এমনকি শ্বাসরোধ করার পরেও যখন তিনি চেতনা হারিয়ে ফেলেন।

অভিযোগের বিষয়ে অ্যান্ড্রু টেট তার বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, নারীদের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে এবং সেখানে কোনো সহিংসতা বা জোর-জবরদস্তি ছিল না।

তার আইনজীবীরা আরও বলছেন যে, ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে সংঘটিত ঘটনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের ব্যক্তিগত আঘাতের অভিযোগের সময়সীমা শেষ হয়ে গেছে। তাদের মতে, এই সময়ের মধ্যে হওয়া ইমেল, টেক্সট মেসেজসহ অন্যান্য প্রমাণ নষ্ট হয়ে গেছে।

এদিকে, ঘটনার শিকার হওয়া নারীদের দাবি, তাদের এইসব অভিজ্ঞতার কারণে দীর্ঘমেয়াদী মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি হয়েছে।

শুধু যুক্তরাজ্যেই নয়, রুমানিয়াতেও টেটের বিরুদ্ধে ফৌজদারি তদন্ত চলছে। সেখানে তার বিরুদ্ধে মানব পাচার, নাবালকদের পাচার এবং অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।

বর্তমানে তিনি এবং তার ভাই, ট্রিস্টান টেট দুবাইয়ে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। ব্রিটেনের পুলিশও ২০১২ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে সংঘটিত ধর্ষণ ও পাচারের অভিযোগের বিষয়ে তাদের গ্রেফতার করতে চাইছে।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *