বিখ্যাত সোশ্যাল মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং বিতর্কিত ব্যবসায়ী অ্যান্ড্রু টেটের বিরুদ্ধে এবার যৌন নিপীড়ন ও মারধরের অভিযোগ এনেছেন তার এক প্রাক্তন প্রেমিকা। লস অ্যাঞ্জেলেসে দায়ের করা এক মামলায় মডেল ব্রায়ানা স্টার্ন টেটের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন।
১০ মাস ধরে চলা তাদের সম্পর্কের বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে গুরুতর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগও এনেছেন তিনি। একইসঙ্গে, টেটের বিরুদ্ধে একটি সুরক্ষা আদেশের আবেদনও করেছেন তিনি।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ব্রায়ানা স্টার্ন জানান, তাদের সম্পর্কের এক পর্যায়ে, লস অ্যাঞ্জেলেসের বেভারলি হিলস হোটেলে যৌন সম্পর্কের পর অ্যান্ড্রু টেট তাকে মারধর করেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, টেট ব্রায়ানাকে গলা টিপে ধরেন এবং মারধর করেন, যার ফলে তিনি প্রায় জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন। ব্রায়ানা স্টার্নের অভিযোগ, টেট প্রায়ই তাকে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ কথা বলতেন এবং অপমান করতেন।
এছাড়াও, সম্পর্কের শুরু থেকেই টেট তাকে ‘নিজের সম্পত্তি’ হিসেবে গণ্য করতেন এবং মানসিক নির্যাতন চালাতেন।
অন্যদিকে, টেটের আইনজীবী জোসেফ ম্যাকব্রাইড এক বিবৃতিতে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি একে ‘অর্থ আদায়ের চেষ্টা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং ব্রায়ানার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের অভিযোগ এনেছেন।
ম্যাকব্রাইড জানান, তারা আদালতে টেটের পক্ষে দৃঢ়ভাবে লড়বেন এবং সত্য প্রকাশ করবেন।
আদালতের নথিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, ব্রায়ানা স্টার্ন ২০১৪ সালে রোমানিয়ায় একটি মডেলিংয়ের কাজের সূত্রে টেটের সঙ্গে পরিচিত হন। এরপর থেকেই তাদের সম্পর্কের সূত্রপাত হয়।
রোমানিয়ায় থাকাকালীন সময়েই টেট ব্রায়ানার প্রতি এমন আচরণ করতেন।
শুধু তাই নয়, অ্যান্ড্রু টেট বর্তমানে আরও কয়েকটি গুরুতর অভিযোগের সম্মুখীন। এর মধ্যে রয়েছে মানব পাচার, নাবালিকা ধর্ষণ এবং অর্থ পাচারের মতো অভিযোগ।
বর্তমানে তিনি রুমানিয়ায় বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন। ব্রিটেনের একটি আদালতও টেটের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছে এবং তাকে গ্রেফতারে ইউরোপীয় পরোয়ানা জারি করেছে।
ব্রায়ানা স্টার্ন তার বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তিনি ভয় পেতেন বলেই আগে মুখ খোলেননি। কিন্তু এখন তিনি চান তার কথা সবাই শুনুক।
তিনি চান, এই ঘটনার সঠিক বিচার হোক।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান