বিখ্যাত অভিনেতা অ্যান্ডি গ্রিফিথ, যিনি ‘দ্য অ্যান্ডি গ্রিফিথ শো’-এর মাধ্যমে দর্শকদের মনে আজও উজ্জ্বল, তাঁর ব্যক্তিগত জীবনও ছিল আলোচনা যোগ্য।
অভিনয়ের বাইরে এই কিংবদন্তীর ছিল দুই সন্তান: এক ছেলে এবং এক মেয়ে। সম্প্রতি, তাঁদের জীবন ও পিতার সঙ্গে সম্পর্কের কিছু দিক নতুন করে আলোচনায় এসেছে।
অ্যান্ডি গ্রিফিথের ছেলে, অ্যান্ডি স্যামুয়েল “স্যাম” গ্রিফিথ জুনিয়র, ১৯৫৭ সালে জন্মগ্রহন করেন।
তাঁর মা ছিলেন বারবারা এডওয়ার্ডস, যিনি নিজেও একজন শিল্পী ছিলেন। স্যামের শৈশব কেটেছে ক্যালিফোর্নিয়ার টলুকা লেকের শান্ত পরিবেশে।
পরবর্তীতে, তিনি রিয়েল এস্টেট ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হন। তবে, জীবনের পথ খুব একটা মসৃণ ছিল না স্যামের জন্য।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি মদ্যপানের সমস্যায় জর্জরিত ছিলেন। ১৯৯১ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেও, দাম্পত্য জীবন স্থায়ী হয়নি।
১৯৯৬ সালে মাত্র ৩৮ বছর বয়সে লস অ্যাঞ্জেলেসে তাঁর জীবনাবসান হয়।
অন্যদিকে, অ্যান্ডি গ্রিফিথের মেয়ে ডিক্সি নান গ্রিফিথ ১৯৫৯ সালে জন্মগ্রহন করেন।
বাবার কাজের সুবাদে হলিউডের ঝলমলে দুনিয়ার সঙ্গে তাঁর পরিচয় ছিল, কিন্তু তিনি অভিনয়ের পেশা বেছে নেননি।
১৯৭২ সালে বাবা-মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদের পর ডিক্সি বাবার সঙ্গেই থাকতেন।
ডিক্সি সম্প্রতি তাঁর বাবার স্মৃতি ধরে রাখার জন্য কাজ করছেন।
তিনি ২০১৫ সালের চলচ্চিত্র ‘মেবেরি ম্যান’-এর নির্বাহী প্রযোজক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এছাড়াও, তিনি তাঁর বাবার কাজের সাথে জড়িত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশগ্রহণ করেন।
অ্যান্ডি গ্রিফিথ তাঁর সন্তানদের খুব ভালোবাসতেন।
ডিক্সি জানিয়েছেন, বাবার সঙ্গে কাটানো সময়গুলো তাঁর কাছে আজও অমূল্য।
বাবার মৃত্যুর পর ডিক্সি তাঁর স্মৃতিচারণ করে বলেন, “বাবা ছিলেন খুবই মিশুক, প্রাণবন্ত এবং জীবনকে উপভোগ করতে ভালোবাসতেন।”
অ্যান্ডি গ্রিফিথ একাধারে অভিনেতা এবং একজন পিতা হিসেবে দর্শকদের কাছে পরিচিত ছিলেন।
তাঁর অভিনয় জীবনের পাশাপাশি, সন্তানদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কও ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তাঁর ছেলে স্যামের অকাল প্রয়াণ এবং মেয়ের জীবনযাত্রা, দর্শকদের কাছে এক গভীর বার্তা বহন করে।
তথ্য সূত্র: পিপল