আনি ডিফ্রাঙ্কো: প্রশ্ন করুন, উত্তর দিন!

বিদ্রোহী শিল্পী অ্যানি ডিফ্রাঙ্কো: সঙ্গীতের জগতে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র।

সঙ্গীতশিল্পী অ্যানি ডিফ্রাঙ্কো, যিনি তাঁর স্বতন্ত্র কণ্ঠস্বর এবং সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতার জন্য পরিচিত, খুব শীঘ্রই তাঁর ভক্তদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে চলেছেন।

ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের পক্ষ থেকে এই বিশেষ সাক্ষাৎকারের আয়োজন করা হয়েছে, যেখানে পাঠকেরা সরাসরি ডিফ্রাঙ্কোকে প্রশ্ন করতে পারবেন।

১৯৮৯ সাল থেকে ডিফ্রাঙ্কো সঙ্গীতের জগতে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করেন। তিনি শুধু একজন শিল্পীই নন, বরং একজন সমাজকর্মী হিসেবেও পরিচিত।

নিজের গানের মাধ্যমে তিনি নারীর অধিকার, বর্ণবাদ এবং প্রজনন স্বাস্থ্য সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক বিষয় নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন।

তাঁর নিজস্ব লেবেল ‘রাইটইয়াস বেব’-এর মাধ্যমে তিনি বহু প্রতিভাবান শিল্পীকে তুলে এনেছেন, যা তাঁকে সঙ্গীত জগতে আরও প্রভাবশালী করে তুলেছে।

ডিফ্রাঙ্কোর কর্মজীবনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক হলো অন্য শিল্পীদের সঙ্গে তাঁর সহযোগিতা।

আনায়েস মিচেলের সঙ্গে ‘হ্যাডস্টাউন’ নামক একটি মঞ্চ নাটকে তাঁর কাজ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

এই নাটকে তিনি পার্সিফোনির চরিত্রে অভিনয় করেছেন এবং বর্তমানে এটি ব্রডওয়েতে প্রদর্শিত হচ্ছে।

এই মুহূর্তে ডিফ্রাঙ্কো তাঁর আসন্ন লন্ডন সফরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, যেখানে আনায়েস মিচেলও তাঁর সঙ্গে থাকবেন।

এছাড়াও তিনি গ্লাস্টনবেরি উৎসবেও অংশ নেবেন।

দ্য গার্ডিয়ানের এই বিশেষ সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে ভক্তরা ডিফ্রাঙ্কোর সঙ্গীত জীবন, তাঁর সামাজিক কার্যক্রম এবং তাঁর নতুন অ্যালবাম ‘আনপ্রিসিডেন্টেড শিট’ নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করতে পারবেন।

ডিফ্রাঙ্কো কিভাবে সঙ্গীতের বাণিজ্যিক ধারণাকে উপেক্ষা করে নিজের পথে হেঁটেছেন, কীভাবে তিনি বনিভারের মতো শিল্পীদের অনুপ্রাণিত করেছেন, অথবা তাঁর সঙ্গীত জীবনে পিট সিগার এবং ইউটা ফিলিপসের প্রভাব – এমন নানা বিষয়ে ভক্তরা প্রশ্ন করতে পারবেন।

যারা ডিফ্রাঙ্কোর কাজ ভালোবাসেন এবং তাঁর সম্পর্কে আরও জানতে চান, তাঁদের জন্য এটি একটি দারুণ সুযোগ।

আগামী ৪ এপ্রিলের মধ্যে আপনারা আপনাদের প্রশ্ন জমা দিতে পারেন এবং নির্বাচিত প্রশ্নগুলোর উত্তর নিয়ে গার্ডিয়ানের পরবর্তী সংখ্যায় একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে।

অ্যানি ডিফ্রাঙ্কো, যিনি সঙ্গীতের জগতে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, তাঁর কাজ এবং জীবনযাত্রা সম্পর্কে জানতে আগ্রহী পাঠকদের জন্য এই সাক্ষাৎকারটি একটি মূল্যবান অভিজ্ঞতা হতে চলেছে।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *