শিরোনাম: অবৈধ মাদক সরবরাহে পশুর ঘুম পাড়ানোর ওষুধ, উদ্বেগে মার্কিন স্বাস্থ্য বিভাগ
যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ মাদকদ্রব্যের সঙ্গে পশুর শরীরে প্রয়োগ করার একটি ওষুধ মেশানো হচ্ছে। এর ফলে মাদক ব্যবহারকারীদের মধ্যে বাড়ছে স্বাস্থ্য জটিলতা। সম্প্রতি দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
খবর অনুযায়ী, ‘মেডেটমিডিন’ নামের এই ওষুধটি মূলত পশুদের শান্ত করতে ব্যবহার করা হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) সম্প্রতি জানিয়েছে, বিভিন্ন রাজ্যে অবৈধভাবে তৈরি হওয়া মাদকগুলির সঙ্গে এই ওষুধ মেশানোর ঘটনা বাড়ছে। বিশেষ করে, মারাত্মক মাদক ফেন্টানিলের সঙ্গে এটি মিশিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে, যা মাদকাসক্তদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করছে। এর ফলে একদিকে যেমন বাড়ছে ওভারডোজের ঘটনা, তেমনই রোগীদের চিকিৎসাতেও দেখা যাচ্ছে জটিলতা।
চিকিৎসকরা বলছেন, মেডেটমিডিন মেশানো মাদক সেবনের ফলে রোগীর শরীরে ওষুধের প্রভাব বেশি সময় ধরে থাকছে এবং প্রচলিত চিকিৎসার মাধ্যমে তা সারানো কঠিন হয়ে পড়ছে। এমনকি, ওভারডোজের চিকিৎসায় সাধারণত ব্যবহৃত হওয়া ওষুধ ন্যাক্সলোনও অনেক ক্ষেত্রে তেমন কাজ করছে না।
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে এর প্রভাব ইতিমধ্যে দেখা গেছে। শিকাগোতে গত মে মাসে অতিরিক্ত মাদক গ্রহণের কারণে রোগীর সংখ্যা বেড়ে গিয়েছিল, কিন্তু তাদের চিকিৎসায় সমস্যা হচ্ছিল। পরে জানা যায়, রোগীদের শরীরে মেডেটমিডিন পাওয়া গেছে। ফিলাডেলফিয়াতেও পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। সেখানকার পরীক্ষায় দেখা গেছে, গত বছরের শেষের দিকে জব্দ করা অবৈধ মাদকগুলির প্রায় ৭২ শতাংশেই মেডেটমিডিন মেশানো ছিল। এছাড়া, পিটসবার্গেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাদকদ্রব্যের সঙ্গে এই ধরনের ভেজাল মেশানোর ফলে মাদকাসক্তদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে এবং চিকিৎসা আরও কঠিন হয়ে পড়ছে। তাঁদের মতে, মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের রুখতে না পারলে এই সমস্যা আরও বাড়বে। একইসঙ্গে, মাদকাসক্তদের চিকিৎসার জন্য নতুন কৌশল ও ওষুধ তৈরির প্রয়োজনীয়তাও বাড়ছে।
তথ্য সূত্র: