আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন শেফ এবং টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব অ্যান বারেল ৫5 বছর বয়সে মারা গেছেন। গত মঙ্গলবার, ১৭ই জুন তিনি ব্রুকলিনের নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। রন্ধনশিল্প ও টেলিভিশন জগতে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।
খবরটি পাওয়ার পরেই শেফের অনুরাগী ও সহকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগেও তিনি ছিলেন স্বাভাবিক, প্রাণবন্ত। তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সূত্রে জানা যায়, মৃত্যুর আগের রাতে তিনি একটি কমেডি শো’তে অংশ নিয়েছিলেন।
সবাই বলছিলেন, সে রাতে তিনি ছিলেন দারুণ হাসিখুশি। যারা তাঁর সঙ্গে ছিলেন, তারা কেউই এমনটা আশা করেননি।
অ্যান বারেল টেলিভিশন জগতে পরিচিত মুখ ছিলেন। ‘আয়রন শেফ আমেরিকা’, ‘শেফ ওয়ান্টেড’, ‘চপড’ এবং ‘ওর্স্ট কুকস ইন আমেরিকা’-র মতো জনপ্রিয় রান্নার অনুষ্ঠানগুলোতে তাঁর উপস্থিতি দর্শকপ্রিয়তা এনেছিল। খাদ্য বিষয়ক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় তিনি ছিলেন একজন সুপরিচিত বিচারক।
শুধু তাই নয়, তিনি রান্না বিষয়ক দুটি বইও লিখেছেন, যা পাঠকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে।
শেফ বারেলের পরিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “অ্যান ছিলেন একজন প্রিয় স্ত্রী, বোন, কন্যা, সৎ মা এবং বন্ধু। তাঁর হাসি প্রতিটি ঘর আলোকিত করত। তিনি আমাদের মাঝে না থাকলেও, তাঁর উষ্ণতা, চেতনা এবং অফুরন্ত ভালোবাসা চিরকাল আমাদের সঙ্গে থাকবে।”
বারেলের পরিবারে রয়েছেন তাঁর স্বামী স্টুয়ার্ট ক্ল্যাক্সটন এবং তাঁর পুত্র জাভিয়ার, মা মারলিন, বোন জেন এবং ভাই বেন।
তাঁর অকাল প্রয়াণে খাদ্য ও বিনোদন জগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। রান্নার প্রতি ভালোবাসা আর কাজের মাধ্যমে তিনি চিরকাল মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন।
তথ্য সূত্র: পিপল