বিশ্বখ্যাত রন্ধনশিল্পী এবং টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব, অ্যান বারেল, ৫৫ বছর বয়সে মারা গেছেন। খাদ্য বিষয়ক চ্যানেল ‘ফুড নেটওয়ার্ক’-এর পরিচিত মুখ ছিলেন তিনি।
গত ১৭ জুন নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিনে নিজের অ্যাপার্টমেন্টে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যাওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তাঁর অকাল প্রয়াণে খাদ্যরসিক এবং তাঁর ভক্তদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বারেলের মৃত্যুর কয়েক দিন আগে, তিনি সহকর্মী শেফ এলিজাবেথ ফকনারের সঙ্গে নিউ ইয়র্ক সিটির একটি রেস্টুরেন্টে রাতের খাবার খেয়েছিলেন। এই মর্মান্তিক ঘটনার ছয় দিন আগে, তাঁদের একসঙ্গে কাটানো একটি সন্ধ্যার ছবি সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে ফকনার লেখেন, “অ্যানকে শেষবার দেখেছিলাম, এবং আমরা নিয়মিত দেখা করার এবং একসঙ্গে সময় কাটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম।”
ফকনার আরও জানান যে, বারেলকে তিনি একজন ‘প্রতিদ্বন্দ্বী ও বন্ধু’ হিসেবে সবসময় শ্রদ্ধা করতেন।
বারেলের পরিবার এক বিবৃতিতে জানায়, “অ্যান ছিলেন একজন প্রিয় স্ত্রী, বোন, কন্যা, সৎ মা এবং বন্ধু। তাঁর হাসি প্রতিটি ঘর আলোকিত করত। তিনি আমাদের মাঝে না থাকলেও, তাঁর উষ্ণতা, আবেগ এবং অফুরন্ত ভালোবাসা চিরকাল আমাদের সঙ্গে থাকবে।”
আর্ন্তজাতিক খ্যাতি সম্পন্ন এই শেফের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন অনেকেই। তাঁর রান্নার শৈলী এবং টেলিভিশন অনুষ্ঠানে তাঁর উপস্থিতি বিশ্বজুড়ে খাদ্যপ্রেমীদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল।
এখনো পর্যন্ত তাঁর মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি।
অ্যান বারেল তাঁর স্বামী স্টুয়ার্ট ক্ল্যাক্সটন, সৎ ছেলে হাভিয়ের, মা মারলিন এবং বোন জেনকে রেখে গেছেন।
খাদ্য জগতের এই উজ্জ্বল নক্ষত্রের প্রয়াণে খাদ্যরসিকদের মাঝে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।
তথ্য সূত্র: পিপল