দক্ষিণ আফ্রিকার একটি গবেষণা কেন্দ্রে, যা অ্যান্টার্কটিকায় অবস্থিত, সেখানে শারীরিক নিগ্রহ এবং যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। দেশটির পরিবেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই ঘটনা জানার পর থেকে মনোবিদদের একটি দল নিয়মিতভাবে সেখানে থাকা নয় সদস্যের গবেষণা দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।
সানা IV গবেষণা কেন্দ্রটি অ্যান্টার্কটিকার দুর্গম একটি স্থানে অবস্থিত। কেপ টাউন থেকে এর দূরত্ব প্রায় ২৬০০ মাইলের বেশি। সারা বছর ধরেই বিজ্ঞানীরা এখানে গবেষণা চালান। জানা গেছে, দলের একজন সদস্য তাঁর সহকর্মীর বিরুদ্ধে শারীরিক নিগ্রহ ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ এনেছেন। এই ঘটনার জেরে দলের অন্য সদস্যরাও তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।
অভিযোগকারী ব্যক্তি এক ইমেইলে তাঁর উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেছেন, কারণ তাঁর এবং তাঁর সহকর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে তিনি শঙ্কিত। দক্ষিণ আফ্রিকার ‘সান্ডে টাইমস’ পত্রিকায় এই খবর প্রকাশিত হয়েছে। ওই ইমেইলে অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হয়েছিল, তবে পত্রিকাটি তা প্রকাশ করেনি।
পরিবেশমন্ত্রী ডিওন জর্জ জানিয়েছেন, ঘটনার সূত্রপাত একটি কাজ নিয়ে দলের প্রধানের সঙ্গে কর্মীদের মতবিরোধের কারণে। সাধারণত, এই গবেষণা দলে বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী এবং একজন চিকিৎসক থাকেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার বন, মৎস্য ও পরিবেশ বিষয়ক বিভাগ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং যৌন হয়রানির অভিযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিভাগটি জানিয়েছে, ঘটনার কারণে এখনো পর্যন্ত কাউকে কেপ টাউনে ফিরিয়ে আনার প্রয়োজন হয়নি। তবে, সেখানে একটি প্রতিকারমূলক পরিকল্পনা সক্রিয় করা হয়েছে এবং প্রশিক্ষিত পেশাদারদের মাধ্যমে জড়িত ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি মনোবৈজ্ঞানিক মূল্যায়নে অংশ নিয়েছেন এবং তিনি তাঁর কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত। তিনি ভুক্তভোগীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন বলেও জানা গেছে।
১৯৬০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম অ্যান্টার্কটিকায় একটি বিজ্ঞান কেন্দ্র স্থাপন করে। গ্রীষ্মকালে একটি বিশেষ জাহাজ ব্যবহার করে গবেষকরা সেখানে যান এবং পৃথিবীর ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গ নিয়ে গবেষণা করেন।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান