মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে, বিভিন্ন প্রতিবাদ ও সরকারি পদক্ষেপের প্রেক্ষাপটে। সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের কিছু সিদ্ধান্তের কারণে এই বিতর্ক আরও জোরালো হয়েছে। শনিবার দেশজুড়ে অনুষ্ঠিত হওয়া প্রতিবাদ সমাবেশগুলো ছিল তারই একটি বহিঃপ্রকাশ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বিষয়ক প্রথম সংশোধনী নিয়ে বর্তমানে আলোচনা চলছে। এই অধিকার রক্ষা করা হচ্ছে কিনা, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। বিশেষ করে, ট্রাম্প প্রশাসনের কিছু পদক্ষেপের কারণে অনেক মানবাধিকার সংস্থা এবং নাগরিক স্বাধীনতা সংগঠনগুলো উদ্বিগ্ন।
তাদের মতে, সরকার সমালোচকদের কণ্ঠরোধ করতে চাইছে এবং ভিন্নমত পোষণকারীদের দমন করার চেষ্টা করছে। উদাহরণস্বরূপ, ফিলিস্তিনি আন্দোলনকারীদের গ্রেপ্তার এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করা যেতে পারে।
এমনকি, ওয়াশিংটন ডিসিতে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ট্রাম্পের এমন পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করেছে। তাদের মতে, শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করা মানুষের মৌলিক অধিকার এবং সরকার এটি দমন করতে পারে না।
গণমাধ্যম এবং সাংবাদিকদের স্বাধীনতা নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, যার মধ্যে রয়েছে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস, ভয়েস অফ আমেরিকা, এনপিআর এবং পিবিএস-এর মতো প্রতিষ্ঠান। সমালোচকরা বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসন এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে ভিন্নমত দমনের চেষ্টা করছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসামও সংবাদ সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টিকে উদ্বেগের সঙ্গে দেখছেন এবং নাগরিকদের প্রতি তাদের অধিকার প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমানে ‘কোনো বক্তব্যকে অনুমোদন করা হবে আর কোনটিকে নয়’ – এই ধরনের বিভাজন তৈরি হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন কোন ধরনের বক্তব্যকে সমর্থন করে এবং কোনটিকে করে না, সে বিষয়ে বেশ স্পষ্ট।
উদাহরণস্বরূপ, ইলন মাস্কের সঙ্গে তার বিতর্কের সময়, ট্রাম্প মাস্ককে ডেমোক্রেটদের সমর্থন করলে ‘গুরুতর পরিণতি’ ভোগ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।
মতপ্রকাশের স্বাধীনতার বিষয়টি একটি জটিল বিষয় এবং এর ওপর বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের বিতর্ক হয়েছে। গণতন্ত্রে মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো সুরক্ষিত রাখা অত্যন্ত জরুরি।
তথ্য সূত্র: সিএনএন