মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্টের বিভিন্ন নীতির প্রতিবাদে আসন্ন মে দিবসে দেশব্যাপী বিক্ষোভের প্রস্তুতি নিচ্ছে ‘50501’ আন্দোলন। খবর অনুযায়ী, এই আন্দোলনের মূল লক্ষ্য হলো ট্রাম্প প্রশাসনের বিভিন্ন পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া।
‘50501’ আন্দোলনের কর্মীরা একে ‘সংহতি দিবস’ হিসেবে পালন করার ঘোষণা দিয়েছে, যেখানে তারা সংবিধান সমুন্নত রাখা এবং নির্বাহী ক্ষমতার অপব্যবহার বন্ধের দাবি জানাবে।
জানা গেছে, এই আন্দোলনের সূচনা হয় একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে। এর আগে, গত ১৯শে এপ্রিল, বিভিন্ন রাজ্যে ট্রাম্প সরকারের নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয়, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা নির্বাহী আদেশের অপব্যবহার, অভিবাসন নীতির কড়া সমালোচনা এবং শিক্ষাখাতে সম্ভাব্য পরিবর্তনের প্রতিবাদ জানায়।
মে দিবসের বিক্ষোভ কর্মসূচি ‘মে ডে স্ট্রং’ নামক একটি সংগঠনের সঙ্গে যৌথভাবে আয়োজিত হচ্ছে। আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত গ্লোরিয়ান সাহায়ের মতে, এই বিক্ষোভের মূল উদ্দেশ্য হলো— সরকার যদি কোনো একজন নাগরিকের অধিকার হরণ করে, তবে তা সকল আমেরিকানের ওপর আক্রমণের শামিল।
শ্রমিক অধিকার এবং সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায় এই আন্দোলনে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রতি বছর ১লা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালিত হয়, যা শ্রমিক অধিকার আদায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। যদিও যুক্তরাষ্ট্রে এই দিনে সরকারি ছুটি থাকে না, তবে আন্দোলনের আয়োজকরা বলছেন, জনগণের অধিকার রক্ষার প্রশ্নে তারা অবিচল এবং ব্যাপক জনসমাগম হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
‘50501’ নিজেদের একটি বিকেন্দ্রীভূত আন্দোলন হিসেবে বর্ণনা করে এবং তাদের সব কর্মসূচি স্বেচ্ছাসেবকদের দ্বারা পরিচালিত হয়। তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি মানচিত্রে দেখা যায়, দেশজুড়ে এক হাজারের বেশি স্থানে এই ধরনের প্রতিবাদ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।
ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই অভিবাসন নীতিতে কড়াকড়ি, বাণিজ্য শুল্ক বৃদ্ধি, এবং পরিবেশগত সুরক্ষা দুর্বল করার মতো পদক্ষেপ নিয়েছেন। সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, ট্রাম্পের কর্মপরিধির প্রতি সমর্থন উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে, যা দেশটির ইতিহাসে কোনো নতুন প্রেসিডেন্টের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই নারীদের নেতৃত্বে একটি বিশাল বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এছাড়া, সাম্প্রতিক সময়ে প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের কিছু নীতির বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম মারফত জানা গেছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন