এবারের ‘গোলাপি চাঁদ’ দেখলে চমকে যাবেন! কারণ?

আকাশে উঁকি দেবে ক্ষুদ্রতম “গোলাপী চাঁদ”, জেনে নিন বিস্তারিত

আসন্ন এপ্রিল মাসে আকাশে দেখা মিলবে একটি বিশেষ ঘটনার, যা “গোলাপী চাঁদ” নামে পরিচিত। তবে, এই নামটি শুনে বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই, কারণ চাঁদের রং গোলাপী হবে না।

বরং, এটি একটি “মাইক্রো-মুন” বা ক্ষুদ্র চাঁদ হিসেবে দৃশ্যমান হবে, যা স্বাভাবিকের চেয়ে আকারে খানিকটা ছোট দেখাবে।

এই “গোলাপী চাঁদ”-এর দেখা মিলবে শনিবার, এপ্রিল মাসের ২০ তারিখে। বাংলাদেশ সময় (BST) অনুযায়ী, এই চাঁদ তার পূর্ণতা লাভ করবে সম্ভবত সকাল ৬টা ২২ মিনিটে।

নভোচারী এবং জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, যখন চাঁদ পৃথিবী থেকে সবচেয়ে দূরে অবস্থান করে, তখন এই ধরনের “মাইক্রো-মুন”-এর সৃষ্টি হয়।

চাঁদের কক্ষপথ ডিম্বাকৃতির হওয়ার কারণে, বছরের বিভিন্ন সময়ে চাঁদ পৃথিবী থেকে ভিন্ন ভিন্ন দূরত্বে থাকে। এর ফলে, কোনো সময় চাঁদ পৃথিবীর কাছাকাছি আসে (তখন “সুপারমুন” দেখা যায়), আবার কোনো সময় দূরে চলে যায় (তখন “মাইক্রো-মুন” দেখা যায়)।

এই মাসের “গোলাপী চাঁদ” হবে চলতি বছরে দৃশ্যমান তিনটি “মাইক্রো-মুন”-এর মধ্যে সবচেয়ে ছোট।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, একটি “মাইক্রো-মুন” সাধারণ পূর্ণিমার চাঁদের চেয়ে প্রায় ৬% ছোট দেখায়।

তবে, খালি চোখে এই পার্থক্য খুব সহজে বোঝা নাও যেতে পারে।

নভো-পর্যবেক্ষকদের জন্য, ভালো মানের বাইনোকুলার বা টেলিস্কোপ ব্যবহার করে, আলো দূষণমুক্ত কোনো স্থান থেকে চাঁদ দেখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এই “গোলাপী চাঁদ” নামকরণের পেছনে রয়েছে বসন্তের আগমন। উত্তর আমেরিকায় এই সময়ে “ক্রিপিং ফ্লোকস” (Creeping Phlox) নামক এক ধরনের গোলাপী রঙের বুনো ফুল ফোটে।

এই ফুলের রঙের সঙ্গে মিল রেখে এই চাঁদের এমন নামকরণ করা হয়েছে।

এছাড়াও, এই মাসের পূর্ণিমার একটি বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে খ্রিস্টান ধর্মানুসারে।

ইস্টার সানডে (Easter Sunday) উদযাপনের তারিখ নির্ধারণ করা হয় এই পূর্ণিমার ওপর ভিত্তি করে।

২০২৫ সালে, এরপর আরও আটটি পূর্ণিমা দেখা যাবে।

অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বরে দেখা যাবে “সুপারমুন”।

আসুন, জেনে নেওয়া যাক এই বছরের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মহাজাগতিক ঘটনাগুলো সম্পর্কে:

  • চন্দ্রগ্রহণ: ৭ ও ৮ সেপ্টেম্বর তারিখে ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আমেরিকার কিছু অংশে একটি পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে।
  • সূর্যগ্রহণ: ২১ সেপ্টেম্বর তারিখে একটি আংশিক সূর্যগ্রহণ হবে, যা অস্ট্রেলিয়া, অ্যান্টার্কটিকা এবং প্রশান্ত মহাসাগরের দূরবর্তী কিছু অঞ্চলে দৃশ্যমান হবে।

মহাকাশ প্রেমীদের জন্য এই বছরটি হতে চলেছে বেশ আকর্ষণীয়। তাই, রাতের আকাশে চোখ রাখতে ভুলবেন না!

তথ্য সূত্র: আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *