শাটডাউনের মধ্যে আর্জেন্টিনার জন্য কেন এত টাকা? মুখ খুললেন বেসেন্ট!

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ আর্জেন্টিনার জন্য ২০ বিলিয়ন ডলারের আর্থিক সহায়তার ঘোষণা করেছে, যা বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। এই সহায়তা মূলত ‘কারেন্সি সোয়াপ’ (currency swap) চুক্তির মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে।

এর মূল উদ্দেশ্য হল আর্জেন্টিনার আর্থিক বাজারে স্থিতিশীলতা আনা। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই চুক্তির মাধ্যমে তাদের পেসো (Peso) মুদ্রার পরিবর্তে যুক্তরাষ্ট্রের ডলার সংগ্রহ করতে পারবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট (Scott Bessent) জানিয়েছেন, সরকারের কার্যক্রম বন্ধ থাকার (shutdown) সময়ও আর্জেন্টিনার জন্য এই সহায়তা প্রদান করা ছিল অপরিহার্য। তিনি বলেন, এটি ছিল ‘মিশন-ক্রিটিক্যাল’ বা অতি প্রয়োজনীয় একটি পদক্ষেপ, যা বিশ্ব অর্থনীতির স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য জরুরি ছিল।

এই বিষয়ে সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন (Elizabeth Warren) প্রশ্ন তুলেছিলেন, সরকারি কার্যক্রম বন্ধ থাকার সময় এমন পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা কতটুকু ছিল?

আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জ্যাভিয়ার মেইলেইয়ের (Javier Milei) রাজনৈতিক কিছু ব্যর্থতার কারণে দেশটির পেসো মুদ্রার মান কমে গেছে। স্থানীয় নির্বাচনে পরাজয়ের ফলে তার আইনসভা সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখা নিয়েও সন্দেহ দেখা দিয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে, যুক্তরাষ্ট্রের এই সহায়তা আর্জেন্টিনার অর্থনীতিকে কিছুটা হলেও সাহায্য করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তবে, এই সহায়তা কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কারণ, শুরুতে পেসোর মান সামান্য বাড়লেও, পরে তা আবার কমে যায়।

এছাড়াও, ট্রেজারি বিভাগ বেসরকারি ব্যাংকগুলোর সঙ্গে মিলিতভাবে আর্জেন্টিনার জন্য আরও ২০ বিলিয়ন ডলার ঋণ প্রদানের পরিকল্পনা করছে। এই বিষয়ে সিনেটর ওয়ারেন উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

এদিকে, ট্রেজারি সেক্রেটারি বেসেন্ট বর্তমানে মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন দেশের অর্থমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করছেন।

বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্য উত্তেজনা বিবেচনা করে, এই বৈঠক বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তিনি সম্প্রতি চীনের ভাইস প্রিমিয়ার হে লিফেং-এর (He Lifeng) সঙ্গেও বৈঠক করেছেন।

আর্থিক সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি, আর্জেন্টিনার অর্থনীতির উন্নতিতে এই পদক্ষেপ কতটা সফল হবে, সে বিষয়েও অনেকে সন্দিহান। এই পরিস্থিতিতে, দেশটির মুদ্রার স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য আরও অনেক পদক্ষেপের প্রয়োজন হতে পারে।

তথ্য সূত্র: CNN

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *