আর্জেন্টিনার ‘গ্যালাপাগোস’-এ: নতুন পার্কে প্রাণীদের স্বর্গরাজ্য!

আর্জেন্টিনার দক্ষিণ উপকূলে, যেখানে তিমিদের আনাগোনা, সেখানেই তৈরি হয়েছে নতুন একটি মেরিন পার্ক। ‘প্যাটাগোনিয়া আজুল’ নামে পরিচিত এই পার্কটি জীববৈচিত্র্যে ভরপুর এবং এটিকে ‘আর্জেন্টিনার গ্যালাপাগোস’ বলেও ডাকা হয়।

বিশাল এই এলাকাটি সংরক্ষণের ফলে সেখানকার সমুদ্র জীবনের নিরাপত্তা আরও সুসংহত হবে।

আর্জেন্টিনার চুবুত প্রদেশের উপকূল জুড়ে বিস্তৃত এই পার্কটি তৈরি হয়েছে, যা প্রায় ইয়োসেমাইট ন্যাশনাল পার্কের সমান।

এই পার্কের মূল উদ্দেশ্য হলো – বিভিন্ন সামুদ্রিক প্রাণীর আবাসস্থল রক্ষা করা।

এখানে প্রায় ৬০টির বেশি দ্বীপ ও ছোট দ্বীপ রয়েছে, যেখানে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, যেমন – হাম্পব্যাক তিমি, সি লায়ন ও ম্যাজিলানিক পেঙ্গুইন-এর মতো প্রাণীরা বিচরণ করে। এখানকার উপকূলীয় অঞ্চলে রয়েছে সবুজ শৈবালের বনভূমি, যা অনন্য বাস্তুতন্ত্র তৈরি করে।

রিওয়াইল্ডিং আর্জেন্টিনা নামক একটি পরিবেশ সংরক্ষণ সংস্থা এই পার্ক তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

তারা ব্যক্তিগত জমি কিনে পার্কের প্রবেশদ্বার তৈরি করেছে এবং দর্শনার্থীদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা তৈরি করতে সহায়তা করছে।

এর মধ্যে ক্যাম্পিং গ্রাউন্ড ও হাঁটার পথ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া, হাম্পব্যাক তিমি, পেঙ্গুইন ও সি লায়নসহ অন্যান্য প্রাণীর সংখ্যা নিরীক্ষণের কাজটিও তারা করবে।

চুবুত প্রদেশের সরকার, আর্জেন্টিনার জাতীয় পার্ক প্রশাসন, বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা এবং স্থানীয় কমিউনিটির সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই পার্কটি গঠিত হয়েছে।

এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য খুব শীঘ্রই পর্যটকদের জন্য হাইকিং ট্রেইল, ক্যাম্পিং সাইট, একটি বায়োলজিক্যাল স্টেশন এবং সমুদ্রের কাছাকাছি যাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

প্যাটাগোনিয়া আজুল পার্কটি কাবো ডস বাহিয়াস সুরক্ষিত প্রাকৃতিক এলাকা থেকে বাহিয়া বুস্টামান্তে গ্রামের সাথে একটি সুন্দর উপকূলীয় রাস্তার মাধ্যমে যুক্ত।

উল্লেখ্য, বাহিয়া বুস্টামান্তে হলো আর্জেন্টিনার একমাত্র গ্রাম, যা শৈবাল এবং ঝিনুক সংগ্রহের জন্য পরিচিত।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই পার্ক তৈরির ফলে সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য রক্ষা করা সম্ভব হবে এবং এটি পরিবেশ সংরক্ষণে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

তথ্য সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লেজার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *