আরিয়্যাল উইন্টার: অভিনয় থেকে অনলাইন নিপীড়ন বিরোধী আন্দোলনে
ছোট পর্দার জনপ্রিয় মার্কিন হাস্যরসাত্মক ধারাবাহিক ‘মডার্ন ফ্যামিলি’-র ‘অ্যালেক্স ডানফি’ চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি পাওয়া অভিনেত্রী আরিয়েল উইন্টার এখন নতুন পরিচয়ে পরিচিত হতে চলেছেন। অভিনয়ের জগৎ থেকে কিছুটা দূরে, বর্তমানে তিনি অনলাইন যৌন নিপীড়ন বিরোধী আন্দোলনে মনোনিবেশ করেছেন।
২০০৯ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ১১টি সিজনে ‘মডার্ন ফ্যামিলি’ দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে। এই ধারাবাহিকে আরিয়েল উইন্টার, যিনি অ্যালেক্স ডানফির চরিত্রে অভিনয় করেছেন, দর্শকদের কাছে আজও প্রিয়। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, অভিনয় জীবনের বাইরে বর্তমানে তিনি প্রযোজনা, একটি রান্নার অনুষ্ঠান তৈরি এবং ‘সোফিয়া দ্য ফার্স্ট’ নামক একটি অ্যানিমেটেড সিরিজে কণ্ঠ দেওয়ার মতো কাজ করছেন।
২৭ বছর বয়সী আরিয়েল জানান, ‘মডার্ন ফ্যামিলি’-তে কাজ করার সময়টা তাঁর জন্য দারুণ ছিল। বিশেষ করে, অভিনেতা এড ও’নিলের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাওয়াটা তাঁর কাছে অনেক আনন্দের ছিল। এই সিরিজে এড ও’নিল তাঁর দাদা ‘জে প্রিটচেট’-এর চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
ধারাবাহিকটির সমাপ্তি প্রসঙ্গে আরিয়েল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে কাজ করা একটি পরিবারের মতো সম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছিল। তাই ধারাবাহিকটি শেষ হয়ে যাওয়ার পর, সবার থেকে আলাদা হয়ে যাওয়াটা তাঁর জন্য কিছুটা কষ্টের ছিল। তবে, একইসঙ্গে তিনি নতুন কিছু শুরু করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন।
‘মডার্ন ফ্যামিলি’-র সেটে তাঁর সহ-অভিনেতাদের সঙ্গে এখনো তাঁর ভালো সম্পর্ক রয়েছে। বিশেষ করে, তাঁর অনস্ক্রিন ছোট ভাই, নোলান গোল্ডের সঙ্গে তাঁর গভীর বন্ধুত্ব এখনো অটুট।
তবে বর্তমানে আরিয়েলের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু ভিন্ন। তিনি অনলাইন যৌন নিপীড়নকারীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। সম্প্রতি একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে তিনি ‘সেফ ফ্রম অনলাইন সেক্স অ্যাবিউজ’ (এসওএসএ) নামক একটি সংস্থার কার্যক্রম দেখেন। এই সংস্থাটি অনলাইনে শিশুদের যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়া থেকে বাঁচাতে কাজ করে।
আরিয়েল উইন্টার জানান, তিনিও একসময় অনলাইনে এবং বাস্তব জীবনে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। তিনি মনে করেন, এই ধরনের ঘটনার শিকার হওয়া শিশুদের সাহায্য করা তাঁর নৈতিক দায়িত্ব। তিনি বর্তমানে এসওএসএ-এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে অনলাইনে শিশুদের সুরক্ষায় কাজ করছেন।
আরিয়েল উইন্টারের এই নতুন যাত্রা, অভিনয় থেকে সমাজসেবার দিকে তাঁর এই পরিবর্তন, নিঃসন্দেহে অনেকের জন্য অনুপ্রেরণা।
তথ্য সূত্র: পিপল