ট্রাম্পের ১০০ দিনে অ্যারিজোনার ভোটারদের মনে অসন্তোষ!

শিরোনাম: ট্রাম্পের শাসনের ১০০ দিনে অ্যারিজোনার ভোটারদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম ১০০ দিনের কার্যক্রম পর্যালোচনা করে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন অ্যারিজোনার সাধারণ মানুষ। সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই চিত্র।

রাজ্যের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ট্রাম্পের কিছু নীতি তাদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে, যদিও অনেকে এখনও তাকে সমর্থন করেন।

অ্যারিজোনার একটি বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষের জন্য কাজ করা ‘স্পেশাল ইটস ক্যাফে’-র মালিক টামারা ভার্গা জানান, তিনি এখনও ট্রাম্পকে সমর্থন করেন, তবে সরকারের কিছু পদক্ষেপ নিয়ে তিনি চিন্তিত।

বিশেষ করে স্বাস্থ্যখাতে সরকারি সুযোগ-সুবিধা—মেডিকেয়ার, মেডিকেড এবং সামাজিক নিরাপত্তা খাতে কাটছাঁট করা হলে তা উদ্বেগের কারণ হবে বলে তিনি মনে করেন। ভার্গা বলেন, তিনি চান ট্রাম্প যেন নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন এবং বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য সুযোগ-সুবিধাগুলো বহাল রাখেন।

অন্যদিকে, প্রগতিশীল ডেমোক্রেট ও সাবেক বিমান সেনা সদস্য মেলিসা কর্ডেরো মনে করেন, ট্রাম্প প্রশাসনের নীতিগুলি তার উদ্বেগের কারণ। তিনি জানান, অভিবাসন এবং সামরিক বাহিনীর অভিজ্ঞদের প্রতি সরকারের আচরণে তিনি ক্ষুব্ধ।

কর্ডেরো মনে করেন, এখন আরো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

ব্যবসা বাণিজ্যের উপর শুল্কের প্রভাব নিয়েও অনেকে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। মেক্সিকো সীমান্ত সংলগ্ন সান্টা ক্রুজ কাউন্টির খাদ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ‘সানফেড’-এর নির্বাহী ম্যাট ম্যান্ডেল বলেন, শুল্কের কারণে ব্যবসায় অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

তিনি মনে করেন, খাদ্যপণ্যের উপর শুল্ক আরোপ করলে ভোক্তাদের খরচ বাড়বে এবং সরবরাহ কমে যেতে পারে।

রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী রে ফ্লোরেস জানান, শুল্কের কারণে ভোক্তাদের মধ্যে খরচ করার প্রবণতা কমে গেছে, যা তার ব্যবসার জন্য উদ্বেগের কারণ। তিনি জানান, তার অধীনে থাকা বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় বিক্রি কমেছে ৭-৮ শতাংশ পর্যন্ত।

ফ্লোরেস মনে করেন, সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণে আরো বেশি পরিকল্পনা ও সমন্বয় প্রয়োজন।

পর্যালোচনায় দেখা যাচ্ছে, অ্যারিজোনার ভোটাররা ট্রাম্প প্রশাসনের কিছু পদক্ষেপের বিষয়ে ইতিবাচক ধারণা পোষণ করলেও, নীতিগত কিছু পরিবর্তনের কারণে তাদের মধ্যে দ্বিধা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে সামাজিক নিরাপত্তা এবং বাণিজ্য নীতির প্রভাব নিয়ে তাদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ রয়েছে।

আগামী দিনে এই পরিস্থিতি কেমন দাঁড়ায়, সেদিকেই এখন সবার দৃষ্টি।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *