আশ্চর্য! পায়ের কাছেই মিলল হীরা, বিয়ের স্বপ্ন পূরণ তরুণীর!

আর্কানসাসের একটি পার্কে হিরের সন্ধান: বাগদানের আংটির জন্য পাথর খুঁজে পেলেন মার্কিন নারী।

নিউ ইয়র্কের মিশেরে ফক্স নামক এক নারী তার বাগদানের আংটির জন্য হিরের সন্ধানে ছিলেন। সেই উদ্দেশ্যে তিনি আমেরিকার আর্কানসাসের ‘ক্রেটার অফ ডায়মন্ডস স্টেট পার্ক’-এ গিয়েছিলেন।

সেখানে প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে খোঁড়ার পর, অবশেষে তার স্বপ্ন পূরণ হয়। চলতি বছরের ৮ জুলাই, তিনি ২.৩ ক্যারেটের একটি সাদা হিরের সন্ধান পান।

পার্কের ইতিহাসে এটি ছিল তৃতীয় বৃহত্তম হিরের সন্ধান। মিশেরে তার হিরের নাম দেন “ফক্স-বালো ডায়মন্ড।”

মিশেরে জানান, তিনি চেয়েছিলেন তার বাগদানের আংটির জন্য হিরেটি নিজে খুঁজে বের করতে। তিনি বলেন, “আমি চেয়েছিলাম বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে গিয়ে হলেও কাজটি সম্পন্ন করতে।”

আর্কানসাসের এই পার্কটির বিশেষত্ব হল এখানে আসা দর্শনার্থীরা নিজেরাই হিরের খোঁজে নামতে পারেন এবং খুঁজে পাওয়া হিরে নিজেদের কাছে রাখতে পারেন।

মিশেরে তার চূড়ান্ত দিনে যখন পার্কের প্রায় ৩৭.৫ একর এলাকাটিতে ঘুরছিলেন, তখন তার নজরে আসে একটি উজ্জ্বল পাথর। প্রথমে তিনি এটিকে শিশির ভেজা মাকড়সার জাল ভেবেছিলেন।

কিন্তু ভালো করে দেখার পর বুঝতে পারেন, সেটি আসলে একটি হিরে।

মিশেরে ফক্স বলেন, “হাতে আসল হিরে দেখার আগে, আমি নিশ্চিত ছিলাম না। তবে, এটিকে সবচেয়ে ‘হিরেময় হিরে’ মনে হয়েছিল।”

পার্কের কর্মীরা নিশ্চিত করেছেন যে, পাথরটি একটি সাদা হিরে, যার ওজন ২.৩ ক্যারেট।

মিশেরে আরও জানান, হিরে খুঁজে পাওয়ার পর তিনি হাঁটু গেড়ে বসে কেঁদে ফেলেছিলেন এবং পরে হাসতে শুরু করেন।

তিনি বলেন, “আমি জানতাম, আমার চিরদিনের পাথরটি আমি খুঁজে পেয়েছি।”

“ফাইন্ডার্স, কিপার্স” নীতির কারণে এই পার্কটি সারা বিশ্ব থেকে আসা মানুষের কাছে খুবই জনপ্রিয়।

প্রতি বছর এখানে অসংখ্য মানুষ হিরের খোঁজে আসেন। শুধু এই বছরই, অন্তত ৩৬৬টি হিরের সন্ধান পাওয়া গেছে, যার মধ্যে ১১টির ওজন এক ক্যারেটের বেশি।

১৯০৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এখানে ৭৫,০০০-এর বেশি হিরের সন্ধান পাওয়া গেছে।

এই পার্কটি শুধু হিরের জন্য বিখ্যাত নয়, এখানে পাওয়া গেছে আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় হিরে, যার নাম “আঙ্কেল স্যাম।”

১৯২৪ সালে ৪০.২৩ ক্যারেটের এই হিরেটি এখানে পাওয়া গিয়েছিল। পরে এটি ন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ ন্যাচারাল হিস্টোরিতে রাখা হয়েছে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *