আর্সেনালের জয়, রিয়াল মাদ্রিদের স্বপ্নভঙ্গ: চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে গানার্স
বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে রিয়াল মাদ্রিদকে ২-১ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে আর্সেনাল। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ ব্যবধানে জয়লাভ করে তারা।
এই জয়ে ২০০৯ সালের পর প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলো গানার্সরা।
ম্যাচটি ছিল উত্তেজনায় ভরপুর। ভিএআর-এর (ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি) কয়েকটি সিদ্ধান্ত খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
পেনাল্টির সিদ্ধান্তেও দেখা যায় নাটকীয়তা। প্রথমে আর্সেনালের পক্ষে পেনাল্টির বাঁশি বাজলেও, পরে তা মিস করেন বুকায়ো সাকা। এরপর রিয়াল মাদ্রিদের পক্ষেও পেনাল্টির সিদ্ধান্ত এলেও ভিএআরের সাহায্য নিয়ে তা বাতিল করা হয়।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে আর্সেনালের হয়ে গোল করেন বুকায়ো সাকা ও গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেলি।
অন্যদিকে, রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র।
আর্সেনালের এই জয়ে তাদের সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষ হতে যাচ্ছে প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)।
এছাড়া, অন্য সেমিফাইনালে ইন্টার মিলান খেলবে বার্সেলোনার বিপক্ষে।
রিয়াল মাদ্রিদের জন্য এই ম্যাচটি ছিল দুঃস্বপ্নের মতো।
টানা তিন মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জেতার স্বপ্ন তাদের এবার পূরণ হলো না।
দলের অভিজ্ঞ খেলোয়াড় এবং কোচ কার্লো আনচেলত্তির চোখেমুখে ছিল হতাশার ছাপ। ম্যাচ শেষে তিনি জানান, হয়তো ক্লাব পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
আর্সেনালের কোচ মিকেল আর্তেতা এই জয়কে তার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা রাত হিসেবে উল্লেখ করেন।
এই জয় আমাদের জন্য খুবই স্পেশাল, কারণ আমরা এমন একটি দলের বিরুদ্ধে জিতেছি যারা আমাদের অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা।
ম্যাচে কিলিয়ান এমবাপ্পেকে ৭৪ মিনিটে মাঠ থেকে তুলে নেওয়া হয়।
এমবাপ্পের পরিবর্তনে বার্নাব্যুর গ্যালারিতে উপস্থিত দর্শকদের একাংশ তাকে বিদ্রূপ করে।
অন্যদিকে, রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড় লুকাস ভাসকুয়েজ বলেন, “আমরা চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারিনি।
আমরা আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসব। মাদ্রিদ সবসময় ফাইট করে।
২০০৫-০৬ মৌসুমে আর্সেনাল, রিয়াল মাদ্রিদকে নকআউট পর্বে হারিয়েছিল।
এরপর ফাইনালে তারা বার্সেলোনার কাছে হেরে যায়।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস