অবাক করা! এশিয়ার সেরা সমুদ্র সৈকতটি কোথায় জানেন?

বর্তমানে বাংলাদেশের ভ্রমণ প্রেমীদের মধ্যে বিদেশ ভ্রমণের প্রবণতা বাড়ছে। বিশেষ করে, যারা সমুদ্র এবং শান্ত পরিবেশ ভালোবাসেন, তাদের জন্য থাইল্যান্ডের মত দেশগুলো পছন্দের তালিকায় উপরের দিকে থাকে।

সম্প্রতি, ভ্রমণ বিষয়ক ওয়েবসাইট ট্রিপএডভাইজর (TripAdvisor) তাদের ‘ট্রাভেলার্স চয়েজ অ্যাওয়ার্ডস বেস্ট অফ দ্য বেস্ট ২০২৫’ তালিকা প্রকাশ করেছে, যেখানে এশিয়ার সেরা সমুদ্র সৈকত হিসেবে স্থান করে নিয়েছে থাইল্যান্ডের ‘বানা বিচ’।

**বানা বিচ: এশিয়ার সেরা সমুদ্র সৈকত**

পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় থাকা বানা বিচ, ফুকেট-এর কাছে কোহ হে (বা কোরাল আইল্যান্ড)-এ অবস্থিত। এখানকার প্রধান আকর্ষণগুলো হলো সাদা বালুকাময় সমুদ্র সৈকত, স্বচ্ছ নীল জল এবং বিভিন্ন প্রকার প্রবাল প্রাচীর।

যারা একই সাথে বিশ্রাম এবং বিভিন্ন ধরণেরActivity উপভোগ করতে চান, তাদের জন্য বানা বিচ একটি আদর্শ স্থান। এখানে আপনি ডাইভিং, স্নোরকেলিং, প্যারাসেইলিং এবং কায়াকিং-এর মতো Activity-র সুযোগ পাবেন।

এছাড়াও, সৈকতে বসে ম্যাসাজ উপভোগ করা অথবা সানবেডে শুয়ে বিশ্রাম নেওয়ারও ব্যবস্থা রয়েছে।

**কীভাবে যাবেন?**

ফুকেট থেকে বোট অথবা ট্যুর করে খুব সহজেই এখানে যাওয়া যায়। সাধারণত, ১৫ মিনিটের একটি নৌক ভ্রমণে আপনি বানা বিচে পৌঁছাতে পারবেন।

অনেক ট্যুরে দুপুরের খাবারের ব্যবস্থা থাকে, যেখানে আপনি নানা ধরনের খাবার উপভোগ করতে পারবেন। সাধারণত নভেম্বর থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত এখানে ভ্রমণের উপযুক্ত সময়।

**খরচ কেমন?**

যদিও এই মুহূর্তে বোট ভাড়ার সুনির্দিষ্ট খরচ বলা কঠিন, তবে সাধারণত ফুকেট থেকে বানা বিচ-এর উদ্দেশ্যে নৌকায় যেতে জনপ্রতি খুব বেশি খরচ হয় না।

বিভিন্ন ট্যুর অপারেটর বিভিন্ন প্যাকেজ অফার করে থাকে, যা আপনার বাজেট অনুযায়ী বেছে নিতে পারেন।

**অন্যান্য আকর্ষণ**

বানা বিচ-এর পাশাপাশি, আপনি চাইলে এশিয়ার আরও কিছু সুন্দর সমুদ্র সৈকত ঘুরে আসতে পারেন। এই তালিকায় রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার নুসা পেনিদাতে অবস্থিত কেলিংকিং বিচ, দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানের হেইয়ুন্দাই বিচ, ফিলিপাইনের পানাই দ্বীপের হোয়াইট বিচ এবং ভারতের হ্যাভলক দ্বীপের রাধানগর বিচ।

**ভিসা এবং অন্যান্য বিষয়**

বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য থাইল্যান্ডে অন-অ্যারাইভাল ভিসা-র সুবিধা রয়েছে, যা ভ্রমণকে আরও সহজ করে তোলে। ভ্রমণের আগে অবশ্যই ভিসার নিয়মাবলী ভালোভাবে জেনে নিন।

এছাড়াও, থাইল্যান্ডে ভ্রমণের সময় স্থানীয় সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া এবং পরিবেশ পরিছন্ন রাখা উচিত।

আপনি যদি সমুদ্র এবং প্রকৃতির কাছাকাছি সময় কাটাতে ভালোবাসেন, তাহলে বানা বিচ হতে পারে আপনার পরবর্তী গন্তব্য। এখনই আপনার ভ্রমণ পরিকল্পনা শুরু করুন এবং থাইল্যান্ডের এই সুন্দর সৈকতে একটি অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা অর্জন করুন।

তথ্য সূত্র: ট্রিপএডভাইজর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *