যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের সময়সীমা ঘনিয়ে আসার মধ্যে এশিয়ার শেয়ারবাজারে মিশ্র প্রবণতা দেখা গেছে। একই সময়ে, মার্কিন শেয়ার বাজার নতুন রেকর্ড গড়েছে।
খবর অনুযায়ী, শুক্রবার এশিয়ার বিভিন্ন দেশের শেয়ার সূচকে ভিন্ন চিত্র ছিল।
জাপানের নিক্কেই ২২৫ সূচক সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯,৮১০.৮৮ পয়েন্টে। অন্যদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ার কসপি সূচক ২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩,০৫৩.১৮ পয়েন্টে।
হংকংয়ের হ্যাং সেং সূচক ০.৮ শতাংশ কমে ২৩,৮৭১.০৩ পয়েন্টে এবং সাংহাই কম্পোজিট সূচক ০.২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪৬৯.১১ পয়েন্টে।
অস্ট্রেলিয়ার এসএন্ডপি/এএসএক্স ২০০ সূচক ০.১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮,৬0৩.০০ পয়েন্টে। ভারতের সেনসেক্স সূচক ০.২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৮৩,০৩৯.৭৭ পয়েন্টে।
শেয়ার বাজারের এই অস্থিরতার কারণ হিসেবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের দিকে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক দৃষ্টি রয়েছে।
এসপিআই অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থাপনা সহযোগী স্টিফেন ইননেস এক মন্তব্যে বলেন, “মার্কিন শেয়ার বাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও, এশিয়ার বাজারগুলো কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত ছিল।
এর কারণ হলো, ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের কাছাকাছি আসার কারণে তৈরি হওয়া অনিশ্চয়তা।”
বৃহস্পতিবার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবাজার প্রত্যাশার চেয়ে ভালো ফল দেখালে এসএন্ডপি ৫০০ সূচক ০.৮ শতাংশ বেড়ে নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছিল। ডাউ জোনস ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাভারেজও ৩৪৪ পয়েন্ট বা ০.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল, এবং নাসডাক কম্পোজিট ১ শতাংশ লাভ করে।
বর্তমানে ট্রাম্পের প্রস্তাবিত অনেক শুল্ক স্থগিত করা হয়েছে, তবে আগামী সপ্তাহে এগুলো কার্যকর হওয়ার কথা ছিল, যদি না তিনি অন্য দেশগুলোর সঙ্গে শুল্ক কমানোর চুক্তি করতে পারতেন।
শুক্রবার অপরিশোধিত তেলের বাজারেও দরপতন হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বেঞ্চমার্ক অপরিশোধিত তেলের ব্যারেল প্রতি দাম ২৭ সেন্ট কমে দাঁড়ায় ৬৬.৭৩ ডলারে (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৭,৮০০ টাকা)।
আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট ক্রুডের দামও ৩৯ সেন্ট কমে হয় ৬৮.৪১ ডলার (প্রায় ৭,৯০০ টাকা) প্রতি ব্যারেল।
মার্কিন ডলারের বিপরীতে জাপানি ইয়েনের দর কমেছে, যেখানে ১ ডলারের বিনিময়ে পাওয়া যাচ্ছে ১৪৪.২৪ ইয়েন। এর আগে ছিল ১৪৪.৯২ ইয়েন।
ইউরোর দাম সামান্য বেড়ে ১.১৭৮১ ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা আগে ছিল ১.১৭৬১ ডলার।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস