আজকের শেয়ার বাজার: এশিয়ার বাজারেও কি হাসি?

আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিরতা: এশিয়ার শেয়ারবাজারে মিশ্র প্রবণতা, ফেডারেল রিজার্ভের সিদ্ধান্তের প্রভাব।

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এশিয়ার শেয়ারবাজারে বৃহস্পতিবার মিশ্র প্রবণতা দেখা গেছে। বিনিয়োগকারীরা এখন বাজারের গতিবিধির দিকে গভীর মনোযোগ রাখছেন।

এদিনের বাজার পরিস্থিতি:

জাপানে ছুটির কারণে বাজার বন্ধ ছিল। হংকংয়ের হ্যাং সেং সূচক ২.১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২৪,৪৫৫.৬০-এ।

চীনের সাংহাই কম্পোজিট সূচক ০.৫ শতাংশ হ্রাস পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৩,৪০৮.৯৮-এ। অন্যদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ার কোস্পি সূচক ০.৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২,৬৩৭.১০-এ।

অস্ট্রেলিয়ার এসঅ্যান্ডপি/এএসএক্স ২০০ সূচক ১.২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৭,৯১৮.৯০-এ পৌঁছেছে। তাইওয়ানের তাইইক্স সূচক ১.৯ শতাংশ এবং ব্যাংককের সেট সূচক ০.৪ শতাংশ বেড়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের চিত্র:

বুধবার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার বাজারেও ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। বন্ড মার্কেটে ফলন কমে আসার কারণে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কিনতে উৎসাহিত হয়েছেন।

এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক ১.১ শতাংশ বেড়ে ৫,৬৭৫.২৯-এ দাঁড়িয়েছে। ডাউ জোন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল এভারেজ ০.৯ শতাংশ বেড়ে ৪১,৯৬৪.৬৩-এ এবং নাসডাক কম্পোজিট সূচক ১.৪ শতাংশ বেড়ে ১৭,৭৫০.৭৯-এ পৌঁছেছে।

ফেডারেল রিজার্ভের সিদ্ধান্ত এবং বাজারের প্রতিক্রিয়া:

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অর্থনৈতিক নীতি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগের কারণে গত কয়েক সপ্তাহে শেয়ার বাজারে তীব্র অস্থিরতা দেখা গেছে। ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল অবশ্য সম্প্রতি প্রকাশিত কিছু জরিপে মার্কিন ভোক্তাদের মধ্যে অর্থনৈতিক বিষয়ে হতাশা বাড়লেও অর্থনীতির স্থিতিশীলতার দিকে ইঙ্গিত করেছেন।

তিনি বলেন, মানুষের মধ্যে অর্থনৈতিক বিষয়ে নেতিবাচক ধারণা থাকলেও, তারা নতুন গাড়ি কিনছেন, যা ইতিবাচক দিক।

ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার স্থিতিশীল রেখেছে এবং কর্মকর্তারা এই বছরের শেষ নাগাদ ফেডারেল ফান্ডস রেট আরও দুবার কমানোর পরিকল্পনা করছেন। তবে তারা মার্কিন অর্থনীতির দুর্বল প্রবৃদ্ধি এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতি লক্ষ্য করছেন।

পাওয়েল ‘স্ট্যাগফ্লেশন’-এর আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়েছেন, যেখানে অর্থনীতি স্থবির হয়ে যায় কিন্তু মূল্যস্ফীতিও বেশি থাকে।

অন্যান্য বাজারের খবর:

বৃহস্পতিবার সকালে, মার্কিন বেঞ্চমার্ক অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৬৭.৩৮ ডলারে পৌঁছেছে, যা সামান্য বেড়েছে।

আন্তর্জাতিক বাজার মানদণ্ড ব্রেন্ট ক্রুড তেল ব্যারেল প্রতি ৭১.২৪ ডলারে লেনদেন হয়েছে।

এছাড়াও, মার্কিন ডলারের বিপরীতে জাপানি ইয়েনের দর পতন হয়েছে, যেখানে ১ মার্কিন ডলারের বিনিময় মূল্য দাঁড়িয়েছে ১৪৮.২৭ ইয়েন।

ইউরোর দরও সামান্য কমে ১.০৮৯৩ ডলারে দাঁড়িয়েছে।

শেয়ার বাজারের এই অস্থিরতা বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিশ্ব অর্থনীতির এই পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অর্থনীতি কতটা প্রভাবিত হবে, সেদিকে নজর রাখা জরুরি।

তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *