অ্যাস্টন ভিলা এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের প্রাক্তন ফুটবল তারকা পিটার ম্যাকপারল্যান্ড ৯১ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন। ফুটবল বিশ্বে তিনি এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন, যিনি তাঁর অসাধারণ দক্ষতার জন্য আজও স্মরণীয়।
১৯৫৭ সালের এফএ কাপ ফাইনালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ২-১ গোলে হারিয়ে অ্যাস্টন ভিলার জয়ে তিনি একাই দুটি গোল করেছিলেন। এই সাফল্যের কারণে তিনি ক্লাবটির ইতিহাসে অমরত্ব লাভ করেছেন।
ম্যাকপারল্যান্ডের জন্ম হয়েছিল নিউরিতে। তিনি ডান্ডালকের হয়ে পেশাদার ফুটবল জীবন শুরু করেন। ১৯৫২ সালে তিনি অ্যাস্টন ভিলায় যোগ দেন এবং ক্লাবের সোনালী সময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
ক্লাবের হয়ে তিনি ৩৪১টি ম্যাচে ১২১টি গোল করেন। শুধু তাই নয়, ১৯৫৯-৬০ মৌসুমে সেকেন্ড ডিভিশন টাইটেল জেতাতেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।
১৯৬১ সালের লিগ কাপ ফাইনালে রোদারহ্যামের বিরুদ্ধেও তিনি গোল করেন, যেখানে অ্যাস্টন ভিলা দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ ব্যবধানে জয়লাভ করে।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে, ম্যাকপারল্যান্ড উত্তর আয়ারল্যান্ডের হয়ে খেলতেন। ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপে তিনি ৫টি গোল করে নিজের জাত চিনিয়েছিলেন এবং বিশ্বকাপে সর্বাধিক গোল করার রেকর্ডটি আজও তাঁর দখলেই আছে।
দেশের হয়ে তিনি মোট ৩৪টি ম্যাচ খেলেছেন এবং তাঁর গোলসংখ্যা ছিল ৮টি।
ম্যাকপারল্যান্ডের প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করে অ্যাস্টন ভিলা ফুটবল ক্লাব এক বিবৃতিতে বলেছে, “আমরা গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, পিটার ম্যাকপারল্যান্ড, যিনি ১৯৫৭ সালের এফএ কাপ জয়ী দলের শেষ জীবিত সদস্য ছিলেন, তিনি মারা গেছেন।
এই কঠিন সময়ে আমাদের সকলের সমবেদনা তাঁর পরিবার এবং প্রিয়জনদের প্রতি।”
আয়ারল্যান্ড ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনও (আইরিশ এফএ) শোক প্রকাশ করে বলেছে, “পিটার ম্যাকপারল্যান্ডের পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা।
পিটার উত্তর আয়ারল্যান্ডকে গর্বিত করেছেন, বিশেষ করে ১৯৫৮ সালের সুইডেনে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে। তিনি ছিলেন সেই বিখ্যাত যুগের অন্যতম নায়ক।”
ফুটবল বিশ্বে ম্যাকপারল্যান্ডের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। তাঁর খেলোয়াড়ি জীবন এবং অর্জিত সম্মান ফুটবলপ্রেমীদের হৃদয়ে গেঁথে আছে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান