আতঙ্ক! এ টি অ্যান্ড টি-র ডেটা ফাঁসের শিকার? ৭,৫০০ ডলার পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ!

যুক্তরাষ্ট্রের বৃহৎ টেলিযোগাযোগ সংস্থা AT&T-এর গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁসের ঘটনায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রায় ১৭৭ মিলিয়ন ডলার প্রদানের ঘোষণা করা হয়েছে। সম্প্রতি দুটি ডেটা ফাঁসের ঘটনা নিয়ে এই সেটেলমেন্ট বা নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যেখানে গ্রাহকদের তথ্য চুরি হওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকেরা ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

মার্চ ও জুলাই মাসে হওয়া এই ডেটা ফাঁসের ঘটনা দুটি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য নিচে দেওয়া হলো:

* **ঘটনার বিবরণ:**

* মার্চ মাসের ঘটনা: ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে হওয়া এই ডেটা ফাঁসের ফলে গ্রাহকদের সামাজিক নিরাপত্তা নম্বরসহ (Social Security numbers) ব্যক্তিগত বিভিন্ন তথ্য, যেমন – নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ ইত্যাদি চুরি হয়। প্রায় ৭ কোটি ৩০ লক্ষ গ্রাহক এই ডেটা ফাঁসের শিকার হয়েছেন।

* জুলাই মাসের ঘটনা: একটি তৃতীয় পক্ষের ক্লাউড প্ল্যাটফর্ম থেকে “অবৈধ ডাউনলোডের” মাধ্যমে গ্রাহকদের তথ্য হাতিয়ে নেওয়া হয়। এতে AT&T ব্যবহারকারী এবং তাদের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা অন্যান্য সরবরাহকারীদের ফোন নম্বরসহ আরো কিছু তথ্য ফাঁস হয়।

* **ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত তথ্য:**

* আবেদন করার যোগ্য কারা: AT&T-এর যে সকল গ্রাহকদের ডেটা, অর্থাৎ তথ্য, এই দুটি ঘটনার যে কোনোটিতে বা উভয়টিতেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তারা ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

* আবেদনের সময়সীমা: ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করার শেষ তারিখ এখনো নির্দিষ্ট করা হয়নি। তবে, এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য গ্রাহকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

* ক্ষতিপূরণের পরিমাণ:

* মার্চ মাসের ঘটনার শিকার গ্রাহকেরা তাদের ক্ষতির প্রমাণস্বরূপ সর্বোচ্চ ৫,০০০ ডলার পর্যন্ত পেতে পারেন।

* জুলাই মাসের ঘটনার শিকার গ্রাহকেরা ২,৫০০ ডলার পর্যন্ত পেতে পারেন।

* উভয় ঘটনার শিকার হওয়া গ্রাহকেরা তাদের ক্ষতির প্রমাণ দেখালে সর্বোচ্চ ৭,৫০০ ডলার পর্যন্ত পেতে পারেন।

* আবেদন প্রক্রিয়া: ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের সেটেলমেন্ট বিষয়ক ওয়েবসাইটে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা হবে। এছাড়া, যাদের তথ্য চুরি হয়েছে, তাদের ইমেইলের মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হবে।

* **সংস্থাটির বক্তব্য:** AT&T জানিয়েছে, তারা ডেটা ফাঁসের ঘটনার জন্য দায়ী নয়। তবে, আইনি জটিলতা এড়িয়ে যাওয়ার জন্য তারা এই ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হয়েছে।

গ্রাহকদের ডেটা সুরক্ষিত রাখতে তারা সবসময় সচেষ্ট থাকবে।

এই ঘটনার মাধ্যমে ডেটা সুরক্ষার গুরুত্ব নতুন করে সামনে এসেছে। ডিজিটাল যুগে ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।

বর্তমানে বাংলাদেশেও ডিজিটাল সেবার ব্যবহার বাড়ছে, তাই ব্যবহারকারীদের ডেটা সুরক্ষার বিষয়টি আরও বেশি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা উচিত।

তথ্য সূত্র: CNN

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *