কুকুরকে মারধর, ভাইয়ের স্ত্রীর ক্ষমা চাওয়ার আবদার!

শিরোনাম: কুকুরকে মারধর করায় ভাগ্নের শাসন, ক্ষমা চাওয়ার বদলে অনড় ফুফু, পরিবারে বিতর্ক

একটি পরিবারের মধ্যে বিবাদ, যেখানে একটি ছোট শিশুকে তার কুকুরের প্রতি খারাপ ব্যবহারের জন্য শাসন করার পরে ক্ষমা চাওয়ার বদলে অনড় রয়েছেন এক ফুফু।

সম্প্রতি, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে, যেখানে অনেকেই ফুফুর পক্ষ নিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে, যখন ওই ফুফু তার বাড়িতে থাকা ১২ বছর বয়সী গোল্ডেন রিট্রিভার জাতের একটি কুকুরকে মারধর করার জন্য তার ভাগ্নেকে শাসন করেন।

জানা যায়, ফুফু তার বাবা-মায়ের সাথে বসবাস করেন। কয়েকদিন আগে তার বোন, বোনের স্বামী এবং তাদের ছোট্ট ছেলে বেড়াতে আসে। ঘটনার সময়, ফুফু তার ফোনে ব্যস্ত ছিলেন।

হঠাৎ তিনি দেখেন তার তিন বছর বয়সী ভাগ্নে, সোফার উপর বিশ্রামরত কুকুরটির মাথায় একটি ‘কোস্টার’ দিয়ে আঘাত করে। সঙ্গে সঙ্গে ফুফু এগিয়ে এসে শিশুটির হাত ধরে বলেন, “আমরা লাকির (কুকুরটির নাম) সাথে এমন করি না।

যদি আমি তোকে মুখে মারতাম, তাহলে কেমন লাগত?” এরপর তিনি ভাগ্নের কাছ থেকে ‘কোস্টার’টি নিয়ে নেন এবং তাকে সেটি ব্যবহার করতে বারণ করেন।

সাধারণ দৃষ্টিতে, বিষয়টি তেমন গুরুতর ছিল না। কিন্তু ফুফুর অভিযোগ, তার দুলাভাই, যিনি পাশে বসে পত্রিকা পড়ছিলেন, তিনি নাকি বিষয়টি বোনের কাছে ফাঁস করেন।

এরপরই শুরু হয় আসল সমস্যা। ফুফুকে তার বোনের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়।

কিন্তু ফুফু তার সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন। তিনি মনে করেন, কুকুরটির সাথে হওয়া কাজটি অন্যায় ছিল এবং তিনি সঠিক কাজ করেছেন।

বিষয়টি নিয়ে অনলাইনে আলোচনা শুরু হলে, অনেকে ফুফুর পক্ষ নিয়ে মন্তব্য করেছেন।

একটি অনলাইন ফোরামে (Mumsnet) করা জরিপে দেখা যায়, দুই হাজারের বেশি ভোটারের মধ্যে ৬০ শতাংশই ফুফুর সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন।

অনেকে মন্তব্য করেছেন, শিশুদের অবশ্যই পশুর প্রতি সহানুভূতি দেখাতে শেখানো উচিত।

তারা মনে করেন, ফুফুর প্রতিক্রিয়া সঠিক ছিল এবং এই ধরনের আচরণ কখনোই সমর্থনযোগ্য নয়।

এই ঘটনা পারিবারিক সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরে।

বাংলাদেশে পরিবারে শিশুদের শাসন করার একটি স্বাভাবিক প্রবণতা দেখা যায়, যেখানে ফুফু বা অন্যান্য বয়স্ক সদস্যরা তাদের ছোটদের ভালো ব্যবহার শেখানোর চেষ্টা করেন।

তবে, এই ঘটনার জেরে পরিবারের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদটি এখনও চলছে।

তথ্যসূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *