অস্ট্রিয়ার সাবেক চ্যান্সেলর সেবাস্তিয়ান কুর্ৎস-এর বিরুদ্ধে আনা মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ার অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে দেশটির একটি আপিল আদালত। সোমবার এই রায় আসে, যা কুর্ৎসের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ এর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
আদালতের এই রায়ের ফলে কুর্ৎসের একমাত্র ফৌজদারি অভিযোগটি বাতিল হয়ে গেল। এর আগে, তিনি একটি সরকারি কোম্পানির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের সময় মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল।
এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার কারণে তার আট মাসের স্থগিত কারাদণ্ড হয়েছিল।
তবে, কুর্ৎসের বিরুদ্ধে এখনো অন্য একটি দুর্নীতি মামলার তদন্ত চলছে। এই কারণে ২০২১ সালে তাকে চ্যান্সেলরের পদ ছাড়তে হয়েছিল।
যদিও কুর্ৎস বরাবরই তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। আদালতের বাইরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমি কখনোই মিথ্যা বলিনি।”
জানা যায়, ২০২০ সালে একটি সংসদীয় তদন্ত কমিটিতে কুর্ৎস জানিয়েছিলেন, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি ওবিএজি-র কর্মকর্তাদের নিয়োগের বিষয়ে তিনি ‘অবহিত’ ছিলেন। কিন্তু নিম্ন আদালতের রায়ে বলা হয়েছিল, তিনি এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সরাসরি জড়িত ছিলেন।
আপিল আদালতের এই রায়ের ফলে সেই রায়টি বাতিল হয়ে গেল।
কুর্ৎস একসময় অস্ট্রিয়ান পিপলস পার্টির (ওভিপি) নেতৃত্ব দিয়েছেন। যদিও তিনি বর্তমানে রাজনীতি থেকে দূরে রয়েছেন, তবে দলের কিছু সদস্য মনে করেন, নেতৃত্বের পরিবর্তন হলে তিনি আবার রাজনীতিতে ফিরতে পারেন।
তবে জনমত জরিপে দেখা গেছে, অধিকাংশ অস্ট্রিয়ান নাগরিকই তার প্রত্যাবর্তনের পক্ষে নন।
উল্লেখ্য, ২০১৭ এবং ২০১৯ সালের নির্বাচনে কুর্ৎস-এর দল অভিবাসন নীতিতে কঠোর অবস্থান নিয়ে জয়লাভ করেছিল। তিনি বর্তমানে একজন পরামর্শক এবং প্রযুক্তি উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করছেন।
তথ্য সূত্র: সিএনএন