বৃদ্ধ ও শিশুর বন্ধুত্ব: যা কাঁদাবে আপনাকে!

আশ্চর্যজনক বন্ধুত্ব: ৫ বছরের শিশু আর ৭৩ বছরের বৃদ্ধার ভালোবাসার গল্প।

ছোট্ট একটি শহরে, যেখানে সবাই সবার পরিচিত, সেখানেই ঘটে এক অসাধারণ ঘটনা। আমেরিকার মেইন অঙ্গরাজ্যের একটি ছোট্ট শহর, সেখানকার বাসিন্দা ৫ বছর বয়সী অলিভার আর ৭৩ বছর বয়সী ডেবির মধ্যে গড়ে উঠেছে এক দারুণ বন্ধুত্ব। তাদের এই বন্ধুত্বের গল্প এখন অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা।

মিশেইলা টলম্যান নামের এক নারীর সূত্রে প্রথম ডেবির কথা জানতে পারেন তাঁর স্বামী। ডেবির স্বামী ডেভিডের মৃত্যুর পর, মিশেইলার পরিবার ডেবির বাড়িতে ভাড়া থাকতে শুরু করে। এরপর থেকেই যেন সম্পর্কের শুরু। অলিভার আর ডেবির মধ্যে বয়সের ব্যবধান অনেক, কিন্তু তাদের ভালোবাসার গভীরতা ছিল চোখে পড়ার মতো।

প্রতিদিন অলিভার দৌড়ে যায় ডেবির বাড়িতে। সেখানে তারা গল্প করে, একসঙ্গে খেলা করে। ডেবির কাছে অলিভার যেন এক প্রাণবন্ত সঙ্গী। ডেবিরও ভালো লাগে, কারণ ডেভিডকে হারানোর পর তিনি ছিলেন একা। অলিভার যেন তাঁর জীবনে নতুন করে আনন্দ এনেছে।

ডেবি শুধু অলিভারের বন্ধু নন, মিশেইলারও খুব কাছের একজন মানুষ। মিশেইলা জানান, ডেবি সবসময় তাঁর পাশে থাকেন, যখনই তাঁর কোনো সাহায্যের প্রয়োজন হয়। এমনকি, বাড়ির বাগান সাজানো থেকে শুরু করে ঘর গোছানো—সবকিছুতেই ডেবি মিশেইলাকে সাহায্য করেন।

এই বন্ধুত্বের গল্প এখন সবার কাছে পরিচিত। সম্প্রতি, মিশেইলা তাঁদের কিছু সুন্দর মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও নিয়ে একটি টিকটক ভিডিও তৈরি করেন। সেই ভিডিও মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। নেটিজেনদের অনেকেই এই বন্ধুত্বের প্রশংসা করেছেন।

মিশেইলা বলেন, “ডেবি একজন দেবীর মতো, আর আমরা সবাই খুব ভাগ্যবান যে তাঁকে আমাদের জীবনে পেয়েছি।” একজন মন্তব্যকারী ডেবিকে নিয়ে ব্রুকস অ্যান্ড ডানের “বিলিভ” গানটির কথা উল্লেখ করেন, যা ডেভিডের খুব পছন্দের ছিল। মিশেইলা জানান, ডেভিড মারা যাওয়ার আগে প্রতিদিন এই গান শুনতেন। এই বিষয়টি তাঁদের কাছে খুবই বিশেষ ছিল।

ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক আরও গভীর হবে বলে আশা করেন মিশেইলা। তিনি আরও বলেন, “বয়স শুধু একটা সংখ্যা। ভালোবাসা, আসলে ভালোবাসাই। বন্ধুত্বের জন্য রক্তের সম্পর্ক লাগে না।”

এই গল্পটি যেন আমাদের সবার জন্য একটা শিক্ষা। বয়স্ক মানুষ এবং শিশুদের মধ্যেকার সম্পর্ক যে কত সুন্দর হতে পারে, ডেবি ও অলিভারের বন্ধুত্ব তারই প্রমাণ।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *