বাবা প্রথমবার একা বিমানে! ভ্রমণের সময় আরামের জন্য সাথে নিলেন এই ১২টি প্রয়োজনীয় জিনিস

বাংলাদেশে এখন আকাশপথে ভ্রমণের প্রবণতা বাড়ছে, বিশেষ করে বয়স্ক মানুষেরা বিভিন্ন কারণে একা বিদেশের দিকে পা বাড়াচ্ছেন। হয়তো তীর্থযাত্রা, না হয় সন্তানদের কাছে যাওয়া, অথবা নিছক ভ্রমণের জন্য।

প্রথমবার একা বিমানে চড়ার অভিজ্ঞতা অনেকের কাছেই বেশ উদ্বেগের বিষয় হতে পারে। এই উদ্বেগকে জয় করতে, আরামদায়ক এবং নিরাপদ ভ্রমণের জন্য কিছু জরুরি জিনিস সঙ্গে রাখা দরকার।

আমার এক আত্মীয়, যিনি এই বছরই প্রথমবার একা বিমানে চড়েছেন, তাঁর ভ্রমণের অভিজ্ঞতা থেকে কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসের তালিকা তৈরি করা হলো, যা বয়স্ক ভ্রমণকারীদের জন্য খুবই উপযোগী হতে পারে:

প্রথমেই আসা যাক গ্যাজেটের কথায়। আজকাল মোবাইল ফোন আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিমানে উঠার আগে টিকেটিং থেকে শুরু করে বিমানবন্দরের বিভিন্ন তথ্য, এমনকি বোর্ডিং পাস – সবকিছুই তো মোবাইলে!

তাই জরুরি হলো পাওয়ার ব্যাংক। ফোনের চার্জ ফুরিয়ে গেলে যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ আটকে যেতে পারে। হালকা ও সহজে বহনযোগ্য পাওয়ার ব্যাংক সঙ্গে থাকলে এই চিন্তা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

এরপর দরকার ভালো হেডফোন। বিমানের শব্দ এবং অন্যান্য যাত্রীদের কোলাহল থেকে বাঁচতে নয়েজ ক্যান্সেলেশন (noise cancellation) যুক্ত হেডফোন খুবই কাজে আসে। গান শোনা, মুভি দেখা অথবা শান্তভাবে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য এটি অপরিহার্য।

নিরাপত্তার জন্য একটি ছোট ব্যাগ, যেমন কোমর-ব্যাগ বা ক্রস-বডি ব্যাগ ব্যবহার করা যেতে পারে। এই ধরনের ব্যাগে পাসপোর্ট, টাকা, ফোন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস নিরাপদে রাখা যায়। বিমানবন্দরে ঘোরাঘুরির সময় অথবা অন্য কোনো স্থানে, এই ব্যাগ আপনাকে সুরক্ষা দেবে।

ভিসা, টিকিট এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র হাতের কাছে রাখার জন্য একটি ছোট ব্যাগ বা অর্গানাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি আপনার ভ্রমণের সময় প্রয়োজনীয় জিনিস খুঁজে পেতে সাহায্য করবে।

দীর্ঘ ভ্রমণের ক্লান্তি দূর করতে আরামদায়ক ভ্রমণের বিকল্প নেই। ভ্রমণের সময় পায়ের আরামের জন্য একটি ফুটরেস্ট (footrest) খুবই উপযোগী। এছাড়া, ঘুমের জন্য আই মাস্ক এবং কানের প্লাগ ব্যবহার করা যেতে পারে।

আপনার লাগেজ সুরক্ষিত রাখতে এয়ারট্যাগ (AirTag) ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি আপনার লাগেজ ট্র্যাকিং করতে সাহায্য করবে, ফলে লাগেজ হারিয়ে যাওয়ার ভয় থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

স্বাস্থ্যবিধি এবং ব্যক্তিগত যত্নের জন্য কিছু জিনিস সঙ্গে রাখা ভালো। যেমন – হ্যান্ড স্যানিটাইজার, টুথব্রাশ কভার এবং প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র।

পোশাকের ক্ষেত্রে আরামকে প্রাধান্য দিন। লম্বা ফ্লাইটের জন্য আরামদায়ক জুতা, ঢিলেঢালা পোশাক এবং একটি হালকা জ্যাকেট সঙ্গে রাখতে পারেন।

এই জিনিসগুলো ছাড়াও, আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী তালিকাটি সাজাতে পারেন। সবার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা ভিন্ন, তাই নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি।

আশা করি, এই পরামর্শগুলো বয়স্ক ভ্রমণকারীদের জন্য সহায়ক হবে। নিরাপদে ভ্রমণ করুন, আর নতুন অভিজ্ঞতা উপভোগ করুন!

তথ্যসূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লেজার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *