মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ক্যারোলিনায় এক দম্পতির বিরুদ্ধে তাদের আট মাস বয়সী শিশুকে চরম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রাখার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই বাড়িতে ৪০টির বেশি পশু ছিল, যার মধ্যে একটি পচা ছাগলের মৃতদেহও পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, শিশুটিকে বর্তমানে তার এক আত্মীয়ের কাছে রাখা হয়েছে।
হোনাপাথ পুলিশ ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সমাজসেবা বিভাগের উদ্বেগের পরে তারা গত ১৯শে মে তারিখে ওই বাড়িতে অভিযান চালায়। কর্মকর্তারা জানান, বাড়িটিতে কুকুর, বিড়াল, খরগোশ, র্যাকুন এবং মুরগিসহ বিভিন্ন প্রাণী ছিল।
এছাড়া, সেখানে পশুর মলমূত্র এবং অন্যান্য আবর্জনা ছড়িয়ে ছিল। বাথরুমের মধ্যে পচা অবস্থায় একটি ছাগলের মৃতদেহ পাওয়া যায়।
পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, পেশাগত জীবনে এমন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি আগে কখনও দেখেননি তিনি। এই ঘটনায় শিশুটির বাবা-মা কায়লা রেনার্ড এবং নিকোলাস ফলিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে শিশু নির্যাতন এবং পশুদের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণের অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়াও, শহরের কিছু বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগও আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্তদের প্রত্যেককে ১০,০০০ মার্কিন ডলারের বন্ডে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ১১ লাখ টাকার সমান।
পশুদের উদ্ধার করে বর্তমানে অ্যান্ডারসন কাউন্টি PAWS (People for Animals Welfare Services)-এ রাখা হয়েছে। PAWS-এর এক প্রতিনিধি জানান, উদ্ধার অভিযানের সময় তারা অন্তত ৪৭টি প্রাণী খুঁজে পান।
তাদের মধ্যে কিছু কুকুরকে দীর্ঘদিন ধরে খাঁচায় বন্দী করে রাখা হয়েছিল। খাবার পাত্রগুলোতে পোকা দেখা গিয়েছিল।
PAWS-এর ওই প্রতিনিধি আরও জানান, ঘরের ভেতরের পরিবেশ এতটাই খারাপ ছিল যে সেখানে শ্বাস নেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছিল। অ্যামোনিয়া এবং পশুর মলের গন্ধে সেখানে টেকা দায় ছিল।
পশুগুলোর এমন দুর্দশা দেখে তারা মর্মাহত হয়েছিলেন। তবে, তাদের উদ্ধার করতে পেরে ভালো লেগেছে বলেও তিনি জানান। বর্তমানে পশুগুলো সুস্থ হয়ে উঠছে এবং তাদের দেখভাল করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গেছে, শিশুদের নিরাপত্তা এবং পশুদের প্রতি নিষ্ঠুরতা বন্ধে কর্তৃপক্ষের আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
তথ্য সূত্র: পিপল