ভাইরাল: অনাদৃত হলেও, নিজের আদুরে রূপে ইন্টারনেট জয় করলো ছাগলছানা!

বাচ্চা ছাগল ‘জর্জ’-এর অনলাইনে আলোড়ন: নতুন পরিবারে মানিয়ে নেওয়ার লড়াই

ছোট্ট একটি ছাগল, যার আদুরে নাম জর্জ, সম্প্রতি ইন্টারনেট দুনিয়ায় ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে। টিকটক-এর মাধ্যমে তার ছবি ও ভিডিওগুলি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় সে এখন সকলের নয়নের মণি।

জর্জ-এর এই খ্যাতি মূলত তার অসাধারণ মিষ্টি স্বভাবের জন্য। তবে, নতুন পরিবারে মানিয়ে নিতে তার বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।

যেহেতু জর্জ-এর মালিকরা ছুটিতে গিয়েছেন, তাই ব্রি নামের একজন তরুণী বর্তমানে তার দেখাশোনা করছেন। ব্রি জানান, জর্জ-কে তিনি প্রথম দেখেন একটি নিলামে।

তার বাবা-মা সেখানে গিয়েছিলেন আরও কিছু মুরগি কেনার জন্য। সেখানেই জর্জ-কে একা একটি খাঁচায় বন্দি অবস্থায় দেখতে পান তারা। তখন তার বয়স ছিল খুবই কম, হয়তো মাত্র কয়েক দিন।

ব্রি-এর মা জর্জ-কে একা থাকতে দিতে রাজি ছিলেন না, তাই তাকে কিনে নেন।

জর্জ-কে নতুন পরিবারে স্বাগত জানানোর পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। জর্জ-এর মা পিন্ডা নামের একটি ছাগী তাকে প্রথমে ভালোভাবে নেয়নি।

ব্রি জানান, তারা আশা করছেন জর্জ বড় হলে হয়তো পিন্ডা তাকে আপন করে নেবে। আপাতত, জর্জ-কে পিন্ডার নিজের বাচ্চা ক্রিসির সাথে খেলার সুযোগ দেওয়া হয়, তবে সবসময় তাদের উপর নজর রাখা হয়।

ক্রিসি এবং জর্জ, যদিও তাদের মধ্যে বয়সের ব্যবধান খুব বেশি নয়, তাদের স্বভাব একেবারে ভিন্ন। ক্রিসি মানুষের থেকে দূরে থাকতে পছন্দ করে এবং সারাক্ষণ তার মা পিন্ডার সঙ্গেই থাকতে ভালোবাসে।

অন্যদিকে, জর্জ মানুষ ভালোবাসে এবং সবসময় মানুষের কাছাকাছি থাকতে চায়। সে মানুষের কোলে বসতে চায়, তাদের জামাকাপড় চিবোতে চায়—মোটকথা, সে মানুষের সঙ্গ উপভোগ করতে চায়।

জর্জ-এর এই নতুন জীবনযাত্রা টিকটকের দর্শকদের মন জয় করেছে। তারা আশা করছেন, জর্জ খুব শীঘ্রই তার নতুন পরিবারের সঙ্গে মিশে যাবে।

জর্জ দ্রুত বড় হচ্ছে, তবে তার কানের বিশেষত্ব এখনো একইরকম আছে, যা টিকটকে আলোচনার বিষয়।

ব্রি জানান, জর্জ-এর এই বিশেষ ধরনের কান তার একটি বৈশিষ্ট্য, যা তাকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে।

ব্রি জর্জ এবং অন্যান্য ছাগলদের দেখাশোনা করে আনন্দিত। যদিও তিনি নিজে ভবিষ্যতে ছাগল পালনের কথা ভাবছেন না, তবে জর্জ-এর দেখাশোনার সুযোগ পেলে তিনি অবশ্যই রাজি হবেন।

জর্জ-এর বাবা-মা ভবিষ্যতে একটি ছোট আকারের গরু পালনের কথা ভাবছেন, কারণ তারা পশুদের খুব ভালোবাসেন। তারা এখনো পর্যন্ত পেশাদার কৃষক না হলেও, এই শখ তাদের স্বপ্নপূরণের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

তথ্যসূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *