ব্রিটিশ কলাম্বিয়া, কানাডায় একটি বিরল ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সেখানে একটি নতুন orca শাবকের জন্ম হয়েছে, যা বিপন্ন প্রজাতির তিমিদের জন্য একটি আশার আলো দেখাচ্ছে।
গত ৬ এপ্রিল, রবিবার তারিখে, সেন্টার ফর হোয়েল রিসার্চের জীববিজ্ঞানীরা ভিক্টোরিয়া হারবারের কাছে জে-পড (J Pod)-এর সদস্যদের শনাক্ত করেন। তাদের সঙ্গেই ছিল সদ্যোজাত একটি orca শাবক।
এই orca-টিকে চিহ্নিত করা হয়েছে J63 হিসেবে। মা তিমিটির নাম J40। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, J40-এর এটি প্রথম শাবক।
গত এক বছরে সাউদার্ন রেসিডেন্ট কিলার হোয়েল (Southern Resident killer whale) প্রজাতির মধ্যে জন্ম নেওয়া চতুর্থ orca শাবক এটি।
প্রথম দর্শনে শাবকটির স্বাস্থ্য নিয়ে কোনো উদ্বেগের কারণ পাওয়া যায়নি। তবে, বিজ্ঞানীদের মতে, orca শাবকদের জীবনের প্রথম বছরটি বেশ কঠিন হতে পারে, বিশেষ করে যারা প্রথমবার মা হয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে ঝুঁকিটা বেশি থাকে।
তাই, J63-এর সুস্থভাবে বেড়ে ওঠা নিয়ে তারা সতর্কতার সঙ্গে আশাবাদী। শাবকটির আচরণ এবং শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য আগামী দিনগুলোতে আরও পর্যবেক্ষণ করা হবে।
এই প্রসঙ্গে ওর্কা কনজারভেন্সি (Orca Conservancy) জানিয়েছে, জে-পড হল সাউদার্ন রেসিডেন্ট কিলার হোয়েল-এর একটি অংশ, যা তাদের জিনগত এবং সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত।
তিমিদের এই দলগুলি সাধারণত পারিবারিক গোষ্ঠী বা “ম্যাট্রিলিন”-এর অধীনে থাকে, যেখানে বয়স্ক স্ত্রী তিমিরা নেতৃত্ব দেয়। একটি “পড”-এ সাধারণত ২ থেকে ৩০ জনের বেশি সদস্য থাকতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, তিমিরা সামাজিক মিথস্ক্রিয়া, শিকারিদের থেকে নিজেদের রক্ষা করা এবং সম্মিলিতভাবে শিকার করার জন্য দলবদ্ধভাবে বসবাস করে।
সাউদার্ন রেসিডেন্ট কিলার হোয়েল প্রজাতিটি বর্তমানে চরমভাবে বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে। অতীতে, মেরিন পার্কগুলোতে এই প্রজাতির তিমিদের শিকার ও আটকের কারণে এদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছিল।
এই ঘটনা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটেও গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশেও রয়েল বেঙ্গল টাইগার এবং সুন্দরবনের নদীর ডলফিনের মতো অনেক বিপন্ন প্রজাতি রয়েছে।
তাদের সংরক্ষণে সচেতনতা বাড়ানো এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়াটা জরুরি। এই orca শাবকের জন্ম, বিশ্বজুড়ে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের গুরুত্বের কথাই মনে করিয়ে দেয়।
তথ্য সূত্র: পিপলস