বদলাচ্ছে রুচি! নাতির নামে রেগে আগুন ঠাকুরমারা!

আজকাল শিশুদের নামকরণের ক্ষেত্রে অভিভাবকদের মধ্যে নতুনত্বের একটা প্রবণতা দেখা যায়। আধুনিকতার ছোঁয়া লাগায় অনেক বাবা-মাই তাঁদের সন্তানের জন্য এমন নাম পছন্দ করেন, যা হয়তো পরিবারের প্রবীণ সদস্যদের ভালো লাগে না।

সম্প্রতি, যুক্তরাজ্যের একটি জরিপে দেখা গেছে, প্রতি পাঁচ জন দাদুর মধ্যে একজন তাঁদের নাতির নাম পছন্দ করেন না।

সাধারণত, এই অপছন্দগুলো কয়েকটি কারণে হয়ে থাকে। অনেকের মতে, শিশুদের নামগুলো “অসুন্দর” অথবা “পুরোনো দিনের” অথবা “অদ্ভুত”।

আবার কারো কারো মতে, নামের বানানটাও তাদের পছন্দ হয় না। এই বিষয়গুলো নিয়ে নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রে অভিভাবকদের সঙ্গে প্রবীণদের মধ্যে মতের অমিল দেখা যায়।

জরিপে অংশগ্রহণকারী অনেক দাদু-ঠাকুমা জানিয়েছেন, তাঁরা যদি তাঁদের মতামত দেওয়ার সুযোগ পান, তাহলে তাঁরা তাঁদের নাতিনাতনির নামকরণের বিষয়ে তাঁদের অপছন্দ প্রকাশ করতে চান।

তবে, কিছু অভিভাবক মনে করেন, নামকরণের বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে তাঁদের নিজস্ব অধিকার।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের রুচি বদলায়। তাই, শিশুদের নামকরণের ক্ষেত্রে অভিভাবকদের নিজস্ব পছন্দের প্রতি সম্মান জানানো উচিত।

বর্তমান যুগে, শিশুদের নামকরণের ক্ষেত্রে অভিভাবকদের মধ্যে এক ধরনের স্বাধীনতা দেখা যায়। তাঁরা চান, তাঁদের সন্তানের নাম অন্যদের থেকে আলাদা হোক।

সেই কারণে, তাঁরা এমন নাম নির্বাচন করেন, যা হয়তো প্রবীণদের কাছে অপরিচিত মনে হয়।

তবে, পারিবারিক ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়াটাও জরুরি। শিশুদের সুন্দর ও অর্থবহ নাম দেওয়া যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই পরিবারের প্রবীণ সদস্যদের মতামতকে সম্মান জানানোটাও প্রয়োজন।

কারণ, একটি শিশুর সুন্দর ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য পরিবারের সবার ভালোবাসা ও সমর্থন অপরিহার্য।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *