২৮ পেরোলেই বাড়ে বিয়ের চাপ? ব্যাচেলর পার্টি নিয়ে তরুণীর চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি!

বিয়ে মানুষের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। আর বিয়ের আগে বন্ধুদের সাথে হই-হুল্লোড় বা ‘ব্যাচেলরেট পার্টি’-র চল এখন বেশ জনপ্রিয়।

তবে বিয়ের বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই পার্টিতে আসে কিছু পরিবর্তন, এমনটাই মনে করেন টেক্সাসের মিরিয়া হ্যাডলি।

ব্যাচেলরেট পার্টির ধারণা:

পশ্চিমী সংস্কৃতিতে, বিশেষ করে আমেরিকাতে, বিয়ের আগে কনের বন্ধুদের সাথে একটি বিশেষ পার্টি করার রীতি রয়েছে, যা ‘ব্যাচেলরেট পার্টি’ নামে পরিচিত।

এই পার্টিতে কনে তার বন্ধুদের সাথে আনন্দ করে এবং বিয়ের আগের দিনগুলো উদযাপন করে।

মিরিয়ার অভিজ্ঞতা:

২৯ বছর বয়সী মিরিয়া হ্যাডলি, যিনি বর্তমানে বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, সম্প্রতি টিকটকে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন।

সেখানে তিনি জানিয়েছেন, কীভাবে বন্ধুদের সাথে ব্যাচেলরেট পার্টি করার পরিকল্পনা তার জীবন এবং বন্ধুত্বের সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলেছে।

কয়েক বছর আগের বন্ধুদের ব্যাচেলরেট পার্টিগুলো ছিল বেশ উপভোগ্য।

সবাই একসঙ্গে মজা করত, মদ্যপান করত, এবং গভীর রাত পর্যন্ত নাচ-গান চলত।

কিন্তু এখন পরিস্থিতি ভিন্ন।

বদলে যাওয়া পরিস্থিতি:

মিরিয়ার অনেক বন্ধু এখন বিবাহিত, কারও সন্তান হয়েছে, আবার কেউ কেউ হয়তো সন্তানের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

এমনকি অনেকে মদ্যপানও করেন না।

এমন পরিস্থিতিতে নিজের ব্যাচেলরেট পার্টি কিভাবে আয়োজন করবেন, তা নিয়ে কিছুটা দ্বিধায় ছিলেন তিনি।

শুরুতে টেক্সাসের ওয়াইন কান্ট্রিতে একটি পার্টির পরিকল্পনা ছিল, যেখানে হালকা মেজাজে সবাই ওয়াইন পান করবে এবং হাসাহাসি করবে।

কিন্তু এখন সেই পরিকল্পনা হয়তো পরিবর্তন করতে হবে।

বন্ধুত্বের গুরুত্ব:

মিরিয়া মনে করেন, ব্যাচেলরেট পার্টির আসল উদ্দেশ্য হলো বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো এবং ভালোবাসার উদযাপন করা।

তিনি বলেন, “আমার এমন বন্ধু আছে যারা সবসময় আমার পাশে থাকবে এবং আমাকে সমর্থন করবে।”

তাই, তিনি এখন এমন একটি পার্টির পরিকল্পনা করছেন যেখানে সবাই আনন্দ করতে পারে।

নতুন পরিকল্পনার আভাস:

মিরিয়া চান, তার ব্যাচেলরেট পার্টিতে সবাই যেন স্বাচ্ছন্দ্যে অংশ নিতে পারে।

তিনি একটি ব্যক্তিগত শেফের ডিনার, হালকা পোশাকের পার্টি এবং স্পা-এর মতো কিছু কার্যক্রমের পরিকল্পনা করছেন।

যারা মদ্যপান করতে চান না, তাদের জন্য নন-অ্যালকোহলিক পানীয়ের ব্যবস্থা রাখারও চিন্তা রয়েছে।

জীবন পরিবর্তনের গুরুত্ব:

মিরিয়া আরও যোগ করেন, “অন্যদের সাথে তুলনা না করে, এই সময়টাকে উপভোগ করা উচিত।

বন্ধুদের জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে তাদের সমর্থন করা এবং একসঙ্গে সুন্দর স্মৃতি তৈরি করাই আসল।

তথ্যসূত্র: পিপল ম্যাগাজিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *