বারবারা ওয়াল্টার্স: এক কিংবদন্তির জীবন ও সাহসী সাংবাদিকতা
আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন টেলিভিশন সাংবাদিক বারবারা ওয়াল্টার্সের জীবন ও কর্ম নিয়ে নির্মিত একটি নতুন প্রামাণ্যচিত্র মুক্তি পেতে যাচ্ছে। “বারবারা ওয়াল্টার্স: টেল মি এভরিথিং” শিরোনামের এই তথ্যচিত্রটি আগামী ২৩ জুন জনপ্রিয় স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ‘হুলু’-তে মুক্তি পাবে।
এর আগে, ১২ জুন, ২০২৫-এ এটি ট্রাইবেকা চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হবে।
বারবারা ওয়াল্টার্স ছিলেন একজন প্রভাবশালী এবং সাহসী সাংবাদিক, যিনি টেলিভিশন জগতে নারীদের জন্য পথ খুলেছেন। এই তথ্যচিত্রে উঠে আসবে তার বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের নানা দিক।
পুরুষ-শাসিত গণমাধ্যম জগতে তিনি কীভাবে নিজের জায়গা করে নিয়েছিলেন, সেই গল্পও এতে তুলে ধরা হবে।
প্রামাণ্যচিত্রের ট্রেলারে দেখা যায়, ওয়াল্টার্সের বিখ্যাত কিছু সাক্ষাৎকার। তিনি টেইলর সুইফটের মতো জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পীকে যেমন সরাসরি প্রশ্ন করেছেন, তেমনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গেও খোলামেলা কথা বলেছেন।
এমনকি, বিতর্কিত ব্যক্তিত্বদেরও তিনি প্রশ্ন করতে দ্বিধা করেননি।
সাক্ষাৎকারে ওয়াল্টার্সের স্পষ্টভাষিতা ও দৃঢ়তার বিষয়টি বিশেষভাবে ফুটে উঠেছে। বিভিন্ন সময়ে তিনি তার সাক্ষাৎকারে কোর্টনি লাভ, বারবারা স্ট্রাইস্যান্ড, এবং রিচার্ড নিক্সনের মতো ব্যক্তিত্বদের বিভিন্ন বিষয়ে সরাসরি প্রশ্ন করেছেন।
তার এই নির্ভীক মানসিকতা তাকে একজন অসাধারণ সাংবাদিক হিসেবে পরিচিত করেছে।
তথ্যচিত্রটিতে ওয়াল্টার্সের সহকর্মীদেরও মন্তব্য রয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন অপরাহ উইনফ্রে এবং কেটি ক্যুরিকের মতো খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব।
তারা ওয়াল্টার্সের সাংবাদিকতার ধরন এবং তার প্রভাব সম্পর্কে কথা বলেছেন।
বারবারা ওয়াল্টার্স তার কাজের মাধ্যমে সবসময় সমাজের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন। এই তথ্যচিত্রটি তার সেই অদম্য ইচ্ছাশক্তি ও নির্ভীক সাংবাদিকতার প্রতি উৎসর্গীকৃত।
তথ্য সূত্র: পিপল