বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যেকার ‘এল ক্লাসিকো’ – বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফুটবল ম্যাচগুলোর একটি। শনিবার রাতে অনুষ্ঠিত হওয়া এই মহারণে রিয়াল মাদ্রিদ ২-১ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনাকে। খেলাটি ছিল স্প্যানিশ লা লিগার গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ, যা ফুটবল প্রেমীদের জন্য ছিল অত্যন্ত আকর্ষণীয়।
ম্যাচটি শুরু হওয়ার আগে থেকেই উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে। দুই দলের সমর্থকরা তাদের প্রিয় দলের জয়ের জন্য মুখিয়ে ছিলেন। খেলা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই রিয়াল মাদ্রিদ তাদের আক্রমণাত্মক ভঙ্গি নিয়ে মাঠে নামে।
ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে জুড বেলিংহামের গোলে রিয়াল মাদ্রিদ এগিয়ে যায়। এরপর বার্সেলোনাও ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে, কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদের রক্ষণভাগ বেশ শক্ত ছিল।
প্রথমার্ধের খেলা ১-০ গোলে শেষ হওয়ার পর, দ্বিতীয়ার্ধেও উভয় দল আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চালায়। খেলার ৫০ মিনিটে বার্সেলোনার হয়ে ফারমিন লোপেজ গোল করে খেলায় সমতা ফেরান। কিন্তু বেশিক্ষণ তারা এই আনন্দ ধরে রাখতে পারেনি।
ম্যাচের ইনজুরি টাইমে জুড বেলিংহাম আবারও গোল করে রিয়াল মাদ্রিদের জয় নিশ্চিত করেন। এই জয়ের ফলে রিয়াল মাদ্রিদ তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার বিপক্ষে আরও একধাপ এগিয়ে গেল।
ম্যাচে উভয় দলের খেলোয়াড়রাই বেশ কয়েকটি ভালো সুযোগ তৈরি করেছিলেন, কিন্তু ফিনিশিংয়ের অভাবে সেগুলো গোলে পরিণত হয়নি। খেলার এক পর্যায়ে কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্তও দেখা যায়, যা নিয়ে মাঠের বাইরে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক আলোচনা হয়েছে। রেফারির কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেক সমর্থক অসন্তুষ্ট ছিলেন।
এই ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন জুড বেলিংহাম। তিনি দুটি গুরুত্বপূর্ণ গোল করে দলের জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন। অন্যদিকে, বার্সেলোনার হয়ে ফারমিন লোপেজ একটি গোল করলেও দলের পরাজয় এড়াতে পারেননি।
‘এল ক্লাসিকো’ শুধু একটি ফুটবল ম্যাচ নয়, এটি দুটি শহরের, দুটি সংস্কৃতির এবং দুটি ফুটবল দর্শনের লড়াই। সারা বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীরা এই ম্যাচের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে। এই ম্যাচের উত্তেজনা এবং আকর্ষণ সবসময়ই দর্শকদের মুগ্ধ করে তোলে।
বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের কাছেও এই ম্যাচটি অত্যন্ত জনপ্রিয়, এবং খেলাটি সরাসরি সম্প্রচারিত হওয়ায় তারা গভীর রাত পর্যন্ত খেলা উপভোগ করেছেন।
খেলা শেষে উভয় দলের খেলোয়াড় এবং কোচিং স্টাফদের মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় হয়। রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়রা তাদের জয়ের আনন্দ উদযাপন করেন, অন্যদিকে বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা তাদের পরাজয়ের কারণ বিশ্লেষণ করেন।
পরিশেষে, এই ‘এল ক্লাসিকো’ আবারও প্রমাণ করলো ফুটবল মাঠের লড়াই কতটা উত্তেজনাপূর্ণ হতে পারে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা