জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নেওয়ার রাতে মাঠের ঘটনায় বেশ আলোচনা-সমালোচনা চলছে। ইন্টার মিলানের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ২-২ গোলে ড্র হওয়ার পর, সামগ্রিকভাবে ৪-৩ ব্যবধানে পিছিয়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যায় বায়ার্ন।
আর এই হারের পরেই বায়ার্ন মিউনিখের খেলোয়াড় জোসিপ স্টানিসিচের একটি ঘটনা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
খেলা শেষের দিকে যখন বায়ার্ন একটি গোলের জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালাচ্ছিল, ঠিক তখনই এক বল বয়কে ধাক্কা মারেন স্টানিসিচ। বায়ার্নের এই ডিফেন্ডার দ্রুত খেলা শুরু করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু বল বয়য়ের কারণে তা সম্ভব হয়নি।
এর পরেই মেজাজ হারিয়ে ফেলেন তিনি। পরে অবশ্য স্টানিসিচ নিজেই স্বীকার করেছেন, বল বয়কে ধাক্কা মারাটা ‘একটু বোকামি’ ছিল।
ম্যাচ শেষে জার্মান সংবাদমাধ্যম Abendzeitung-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্টানিসিচ বলেন, “যে দলই এগিয়ে থাকে, তারা সময় নষ্ট করার চেষ্টা করে। আমার দিক থেকে, তাকে ধাক্কা মারাটা বোকামি ছিল।”
অন্যদিকে, বায়ার্ন কোচ ভিনসেন্ট কোম্পানি দলের খেলোয়াড়দের ইনজুরির বিষয়টির দিকে ইঙ্গিত করেছেন।
তিনি বলেন, “আমার মনে হয়, ইন্টারের বিপক্ষে ম্যাচের আগে সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল ইনজুরি। আমাদের বুঝতে হবে, [হিরোকি] ইতো, [ডেয়ট] উপমেকানো, [জামাল] মুসিয়ালা, [মানুয়েল] ন্যুয়ার, [আলফোনসো] ডেভিস, [কিংগসলে] কোমান এবং [আলেক্সান্দার] পাভলোভিচ- এদের ছাড়া আমরা কি করতে পারি।”
তবে ইনজুরির সমস্যা সত্ত্বেও, কোয়ার্টার ফাইনালের দুই লেগেই বায়ার্ন ভালো খেলেছে এবং ইন্টারকে কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে। কিন্তু নিজেদের মাঠ আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ফাইনাল খেলার স্বপ্ন পূরণ হলো না তাদের।
কোম্পানি বলেন, “কঠিন সত্যি হলো, আমরা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল নিজেদের মাঠে খেলতে পারছি না। আমরা এটা বদলাতে পারি না। তবে পারফরম্যান্সের দিক থেকে আমরা জানি, এই ম্যাচগুলো জেতার মতো যথেষ্ট ভালো খেলেছি।”
অন্যদিকে, ইন্টার মিলানের কোচ সিমিওনে ইনজাঘি এই জয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেন, “আমাদের স্টেডিয়ামে, সমর্থকদের সামনে একটি শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে এই জয়টি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। আমাদের দুটি দুর্দান্ত ম্যাচ খেলতে হয়েছে এবং সবকিছু উজাড় করে দিতে হয়েছে।
ছেলেরা অসাধারণ খেলেছে। এই জয় পুরো ইন্টার দলের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাই। আমরা এমন একটি দীর্ঘ মৌসুমে এগিয়ে যাচ্ছি, যা আমাদের অনেক আবেগ দিচ্ছে।” উল্লেখ্য, ২০১০ সালে ইন্টার মিলান বায়ার্নকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার পর ট্রেবল জিতেছিল। এবারও সেই পথেই হাঁটছে তারা।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান