২৫ বছর পর: বিয়ার ব্রুক হত্যাকাণ্ডে মেয়ের পরিচয়!

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়ারে কয়েক দশক পুরোনো একটি হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নতুন মোড় এসেছে। ২৫ বছর আগে রাজ্যের একটি পার্ক থেকে উদ্ধার হওয়া একটি মেয়ের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে।

কর্তৃপক্ষ সোমবার জানিয়েছে, ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে রিয়া রাসমুসেন নামের ওই মেয়েটির পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে।

ঘটনাটি ১৯৮৫ সালের। অ্যালেনসটাউনের বেয়ার ব্রুক স্টেট পার্কে একটি ব্যারেল থেকে এক নারী ও ৯ বছর বয়সী এক বালিকার লাশ উদ্ধার করা হয়।

এরপর ২০০০ সালে, একই পার্কে আরও একটি ব্যারেল থেকে ২ ও ৩ বছর বয়সী আরও দুই বালিকার দেহাবশেষ পাওয়া যায়। তদন্তকারীরা ধারণা করছেন, নিহত সবাই ১৯৭০-এর দশকের শেষ দিকে অথবা ১৯৮০-এর দশকের শুরুতে খুন হয়েছিল এবং তাদের লাশগুলো পার্কে ফেলে দেওয়া হয়েছিল।

দীর্ঘদিন ধরে চলা তদন্তে জানা যায়, মেয়েগুলোর বাবা ছিলেন টেরি রাসমুসেন। তিনি অন্য একটি খুনের দায়ে ২০০১ সালে কারাবন্দী হন এবং ২০১০ সালে সেখানেই মারা যান।

রাসমুসেন বিভিন্ন সময়ে বব ইভান্স, কার্টিস কিম্বল ও গর্ডন জেনসনসহ একাধিক ছদ্মবেশ ধারণ করতেন।

মেয়েটির পরিচয় শনাক্ত করতে ‘ডিএনএ ডো প্রজেক্ট’-এর সাহায্য নেওয়া হয়। এই প্রকল্পের কর্মীরা ডিএনএ বিশ্লেষণ এবং বংশগত অনুসন্ধানের মাধ্যমে রিয়ার পরিচয় খুঁজে বের করেন।

তদন্তকারীরা জানান, রিয়ার মা ছিলেন পেপার রিড। ১৯৭০ দশকের শেষ দিক থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

তদন্তকারীরা জনসাধারণের কাছে পেপার রিড এবং ডেনিস বিউডিন নামে আরও এক নারীর বিষয়ে কোনো তথ্য থাকলে তা জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন। ডেনিস বিউডিনও সম্ভবত রাসমুসেনের শিকার হয়েছিলেন।

পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের কাজ এখনো শেষ হয়নি। আপনাদের কাছে যদি সামান্যতম কোনো তথ্যও থাকে, তবে এগিয়ে আসুন। চার দশকের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও, আপনার দেওয়া তথ্যের মাধ্যমেই হয়তো ঘটনার জট খোলা সম্ভব হবে।’

পেপার রিডের পরিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা রিয়াকে ভালোবাসে এবং তাদের হৃদয়ে তার স্থান রয়েছে। তারা গোপনীয়তা রক্ষার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেছে।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *