বিখ্যাত ব্যান্ড দল ‘দ্য বিটলস’-এর জীবনী নিয়ে সিনেমা তৈরির ঘোষণা আসার পরেই যেন সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
অনেকেই বলছেন, সিনেমায় চরিত্রগুলোর অভিনেতা-অভিনেত্রী নির্বাচন সঠিক হয়নি। এমনকি, ছবি মুক্তির আগেই সামাজিক মাধ্যমে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
শুধু ‘দ্য বিটলস’ নয়, আরও কয়েকটি চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রেও এমনটা দেখা যাচ্ছে। মুক্তির আগেই ছবি নিয়ে এত আলোচনা, ভালো না খারাপ?
বিগত কয়েক বছরে সিনেমা নির্মাণে অভিনেতা-অভিনেত্রী নির্বাচন নিয়ে দর্শকদের মধ্যে আগ্রহ বেড়েছে, সন্দেহ নেই।
তারা তাদের পছন্দের অভিনেতা-অভিনেত্রীকে সিনেমায় দেখতে চান। অনেক সময় দেখা যায়, কোনো চরিত্রে পছন্দের তারকাকে না দেখলে তারা হতাশ হন। সেই হতাশা থেকে অনেক সময় তারা ছবি মুক্তির আগেই নেতিবাচক মন্তব্য করতে শুরু করেন।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, রুপালি পর্দায় ‘স্নো হোয়াইট’ চরিত্রে র্যাচেল জেইগলারকে নির্বাচন করা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।
এমনকি, চরিত্র নির্বাচনে ত্রুটি আছে কিনা, তা নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন।
বিখ্যাত সাহিত্যকর্ম ‘উদারিং হাইটস’ অবলম্বনে তৈরি হতে যাওয়া একটি সিনেমার ক্ষেত্রেও এমনটা ঘটেছে।
এখানে মার্গট রবির ক্যাটরিন চরিত্রে অভিনয় করার কথা রয়েছে। চরিত্রটি নির্বাচনের পর পোশাক ও সাজসজ্জা নিয়েও অনেকে সমালোচনা করেছেন।
আসলে, কোনো সিনেমা মুক্তির আগে এমন আলোচনা-সমালোচনা নতুন কিছু নয়।
প্রযুক্তির উন্নতির কারণে এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সহজেই সিনেমা নিয়ে আলোচনা করা যায়।
এর ফলে, ছবি মুক্তির আগেই দর্শক তাদের মতামত জানাতে পারেন।
তবে অনেক সময় দেখা যায়, এই আলোচনাগুলো নির্মাতাদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সিনেমা একটি শিল্প।
এখানে শিল্পীর স্বাধীনতা থাকা জরুরি।
কোনো সিনেমা মুক্তির আগে, এর বিষয়বস্তু, অভিনেতা-অভিনেত্রী নির্বাচন এবং নির্মাণশৈলী নিয়ে সমালোচনা করা যেতেই পারে।
তবে, ছবি মুক্তির আগে এমন সমালোচনার ফলে অনেক সময় নির্মাতারা চাপে পড়েন।
এতে করে, সিনেমার ভালো দিকগুলো অনেক সময় আড়ালে চলে যায়।
অতএব, সিনেমা মুক্তির আগে সমালোচনার পরিবর্তে, ছবিগুলো মুক্তি পাওয়ার পর আলোচনা করলে ভালো হয়।
এতে করে, নির্মাতারা তাদের কাজের পূর্ণ স্বাধীনতা পান এবং দর্শকও একটি ভালো সিনেমা উপভোগ করতে পারেন।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান